Advertisment

Lok Sabha Election, 2019: ভোট মরসুমে রাজনীতির রঙ চড়েছে ইউটিউব ভ্লগিং-এ

পরনে টিশার্ট, ট্রাউজার, কোলে নোটপ্যাড, দেখলে আর পাঁচজন দূরদর্শনের উপস্থাপকের মতোই লাগবে। কিন্তু তার ভ্লগিং এ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি কোনও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি নন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ওয়ালি রহমানি

দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ১৭ তম সাধারণ নির্বাচন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারও তুঙ্গে। আর ২০১৯ এর নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নিচ্ছে সোশাল মিডিয়া। সোশাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচার প্রথম হয়েছিল ২০১৪ সালের নির্বাচনে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই শেষ পাঁচ বছরে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে সোশাল মিডিয়ার চরিত্রে। এবার নতুন ট্রেন্ড ইউটিউব ভ্লগিং। হ্যাঁ, ভিডিও ব্লগিং এখন ভ্লগিং হিসেবেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নেটিজেনদের মধ্যে।

Advertisment

সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালি রহমানির ভ্লগিং। পরনে টিশার্ট, ট্রাউজার, কোলে নোটপ্যাড, দেখলে আর পাঁচজন দূরদর্শনের উপস্থাপকের মতোই লাগবে। কিন্তু তার ভ্লগিং এ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি কোনও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি নন। এক একটা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকারে কম করে এক লক্ষের ওপর ভিউ পান ওয়ালি রহমানি। তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ কি না, তাই নিয়ে একটি ভিডিও ব্লগ করেছিলেন তিনি। ১৮ লক্ষ দর্শক সেই ভিডিও দেখেছেন।

আরও পড়ুন, কয়েন আধিক্যের সমস্যা মেটাতে মুদ্রা রফতানির পথে কেন্দ্র

তাঁর ইউটিউব ভ্লগিং-এর অধিকাংশই রাজনৈতিক। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে বিমুদ্রাকরণের বিফলতা নিয়ে একটি ভিডিও। ২ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছেছে তা।

২০ বছরের ওয়ালি রহমানি ইউটিউবে তাঁর পথচলা শুরু করেছেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। ইউটিউবে তার পরিচিতি রয়েছে 'মোটিভেশনাল স্পিকার' হিসেবে। চ্যানেলে তাঁর বিস্তারিত বিবরণ বলছে তিনি আইনের ছাত্র।

সোশাল মিডিয়ায় যেহেতু তরুণ প্রজন্ম বেশ সক্রিয়, রাজনীতিতে এই প্রজন্মের আগ্রহ অনেকটাই জন্মাচ্ছে এই ধরণের ভ্লগিং এর মাধ্যমে। "যেদিন যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হলেন, সেদিন আমি আমার রাগ ধরে রাখতে পারিনি। সে দিন আমি আমার প্রথম ফেসবুক লাইভ ভিডিও করি। কয়েক লক্ষ ভিউ হয়েছিল। আমার অধ্যক্ষ ভিডিওটি আমায় ডিলিট করতে বলেছিলেন। কিন্তু উনি জানতেন না তার আগেই ভিডিওটি বেশ কিছু মানুষ শেয়ার করে ফেলেছেন", জানালেন ওয়ালি।

দেশের শহুরে অঞ্চলে এই ধরনের ভিডিও-র জনপ্রিয়তা বেশি। সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও তরুণ প্রজন্মের একাংশ সোশাল মিডিয়ার এই মঞ্চ পেয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। তাঁদের কোনও বস এবং এডিটর থাকে না, নিজেরাই স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সেই স্বাধীনতার জায়গাটা খুবই উপভোগ করেন।

Read the full story in English

election commission YouTube General Election 2019
Advertisment