সৌর কেলেঙ্কারিতে প্রধান অভিযুক্ত সরিতা এস নায়ার ওয়ানাড় কেন্দ্রে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চলেছেন। গোটা কেরালার বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এই সরিতা। সরিতা নির্দল হিসেবে ভোটে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
এর্নাকুলাম কেন্দ্রে কংগ্রেসের হিবি ইডেনের বিরুদ্ধেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এই কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন।
কোন কোন মামলায় সরিতার নাম যুক্ত রয়েছে, তার তালিকা সমতে একটি ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই। এই ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
গত সপ্তাহেই সরিতা নায়ার ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসডটকমকে জানিয়েছিলেন জয়ের জন্য বা সাংসদ হিসেবে লোকসভায় গিয়ে বসার জন্য ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে তিনি বেশ কয়েকজনের মুখোশ খুলে দিতে চান বলে জানিয়েছেন সরিতা। তাঁর লক্ষ্য সেই সব প্রার্থী, যাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি সাংসদ হওয়ার জন্য বা লোকসভায় গিয়ে বসার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমি এই পদক্ষের নিয়েছি, যাতে যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে তারা লজ্জিত হয়ে ওঠে। আমাকে সর্বদাই প্রতারক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরা কেমন নেতা, যারা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্ম করেছে, যে অপরাধ অর্থনৈতিক অপরাধের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ানক! এরা কী করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি পেয়ে থাকে?
সরিতা নায়ারের দাবি, তিনি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁর দলের যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে গত এক বছরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের কংগ্রেস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তাঁর উচিত ছিল একজন মহিলার ক্ষোভে সাড়া দেওয়া।
সরিতা নায়ারের বিরুদ্ধে সোলার কেলেঙ্কারির জেরে সারা কেরালা জুড়ে ২৮টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়ে রয়েছে। সোলার প্যানেল ও লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে তিনি ও তাঁর পার্টনার একটি ভুয়ো কোম্পানি খুলে লোকজনকে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ।
২০১৭ সালে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন এই কেলেংকারির তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা ঘুষ ও যৌন পক্ষপাতের বিনিময়ে সরিতা নায়ারের কোম্পানির চুক্তি কিনেছিলেন এবং ভরতুকি দিয়েছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডির নামও ওই রিপোর্টে ছিল।
সরিতা নায়াক ১০জনেরও বেশি কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, এ সব অভিযোগই ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
Read the Story in English