চতুর্থ দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গের দুই জেলা কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায়। পাঁচ জেলায় মোট ৪৪ কেন্দ্রে ভোগ্রহণ রয়েছে।
কোচবিহার-
এই পর্বে কোচবিহার জেলায় ভোট হবে - মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে কোচবিহারের এই ৯ আসনের মধ্যে ৮টিই ছিল তৃণমূলের দখলে। কোচবিহার উত্তর আসনটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই ৯ কেন্দ্রে মধ্যে ৭টিতে এগিয়ে বিজেপি। শীতলকুচি, সিতাইতে শুধু এগিয়ে ছিল জোড়-ফুল শিবির।
আলিপুরদুয়ার-
আলিপুরদুয়ারের মোট চারটি আসনে বিধানসভা ভোট রয়েছে। কেন্দ্রগুলি হল, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট। ২০১৬ সালের ভোট এই চার কেন্দ্রের মধ্যে ৩টির দখল ছিল তৃণমূলের। মাদারিহাটে জয় পায় পদ্ম বাহিনী। ২০১৯-য়ের লোকসভার নিরিখে অবশ্য, সবকটিতেই এদিয়ে বিজেপি।
হাওড়া-
তৃতীয় পর্বে হাওড়ার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। চতুর্থ পর্বে ভোটগ্রহণ হবে ৯টি আসনে। কেন্দ্রগুলো হল, বালি, হাওড়া মধ্য, হাওড়া উত্তর, হাওড়া দক্ষিণ, শিবপুর, পাঁচলা, সাঁকরাইল, উলুবেড়িয়া পূর্ব, জোমজুড়। গতবারের বিধানসভা ভোট এই ৯ কেন্দ্রেই জয় পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। দু'বছর আগে লোকসভা ভোটের নিরিখে অবশ্য এই ৯টির মধ্যে ৮টিতে এগিয়ে ছিল জোড়া-ফুল শিবির। কেবল হাওড়া উত্তরে এগিয়ে যায় বিজেপি।
হুগলি-
হুগলির ১০ আসনে শনিবার ভোটগ্হণ রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে ভোট হবে সেগুলো হল, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুঁড়া, বলাগড়, পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, চণ্ডীতলা। এই ১০ আসনে ২০১৬ সালে ৮টিতে জিতেছিল তৃণমূল। চাঁপদানিতে কংগ্রেস ও পাণ্ডুয়ায় জেতে সিপিএম প্রার্থী। তবে ২০১৯ সালের লোকসভার নিরিখে এই ১০টির মধ্যে মাত্রা ৪টিতে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলস। বাকি ৬টিতে এগিয়ে যায় গেরুয়া ব্রিগেড।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা-
তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলায় ভোগ্রহণ হচ্ছে মোট ৩ দফায়। গত পর্বের পর চতুর্থ দফায় এই জেলায় ভোট রয়েছে ১১ আসনে। কেন্দ্রগুলো হল, সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, বজবজ, মেটিয়াবুরুজ। ২০১৬-তে ওই ১০টির মধ্যে যাদবপুর বাদে তৃণমূল সবকটিতেই জয় হাসিল করেছিল। গত লোকসভার নিরিখে অবশ্য ১০টিতেই এগিয়ে ঘাস-ফুল শিবির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন