Advertisment

সংযুক্ত মোর্চায় 'শূন্য' হাতে বাম, বাংলায় 'নিশ্চিহ্ন'

"আমাদের সমর্থকরা ভেবেছিলেন যে বিজেপিকে প্রতিহত করতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া উচিত। এভাবে আমরা তৃণমূলের কাছে আমাদের জিতে থাকা আসনগুলিও হারিয়েছি।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
can Shantipur strategy will be the model of CPIM in the coming days after west bengal bypoll 2021

উপনির্বাচনে ভোট বাড়ল বামেদের।

ঐতিহাসিক একুশের নির্বাচন! সংখ্যা-পরিসংখ্যান-রাজনীতি-কূটনীতি সব মিলিয়ে বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে এই জয়ের স্থান থাকবে। কারণ অনেক, এর একটি অবশ্যই বামেরা। তবে তা পরাজয়ের নিরিখে। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা 'বামহীন'।

Advertisment

এবারের নির্বাচনে বিজেপির 'হিন্দুত্ব' এবং তৃণমূলের 'মুসলিম'দের নিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের মাঝে বাম-কংগ্রেস হাত মিলিয়েছিল আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে। গঠন করা হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। লক্ষ্য ছিল সংখ্যালঘুরাই। কিন্তু রবিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেখা গেল মোর্চা প্রার্থীদের মধ্যে ভাঙরের আসনের থেকে জিতেছেন আইএসএফ-এর নওশাদ সিদ্দিকি। গোটা রাজ্যে 'নিশ্চিহ্ন' সিপিআইএম, নিশ্চিহ্ন কংগ্রেসও।

আরও পড়ুন, ‘ওদের মুখও মুখ থুবড়ে পড়েছে’, মমতার ‘হার’কে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

এই প্রথম ৩৪ বছরের বাম শাসিত রাজ্য দেখতে চলেছেন বামপন্থীবিহীন রাজ্য বিধানসভা। যদিও পলিটব্যুরোর সদস্যরা দায়ী করেছেন ধর্মীয় মেরুকরণকেই। তাঁদের কথায় বিজেপি যে ধর্মের রাজনীতি করতে চেয়েছিল, মানুষ তা মেনে নেয়নি।" এক বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বলেন, "আমাদের সমর্থকরা ভেবেছিলেন যে বিজেপিকে প্রতিহত করতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া উচিত। এভাবে আমরা তৃণমূলের কাছে আমাদের জিতে থাকা আসনগুলিও হারিয়েছি। তবে আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা কোভিড-ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের এখনও সাহায্য করছেন। যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

২৯২ আসনে মধ্যে ১টি আসনে কংগ্রেসের জয় লাভে মুষড়ে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের প্রধান অধীর চৌধুরীও। তিনিও মেরুকরণের রাজনীতিকেই দুষেছেন। তাঁর কথায়, আমরা জনগণকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি যে কংগ্রেসই ধারাবাহিকভাবে বিজেপি এবং তার সাম্প্রদায়িক আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

আরও পড়ুন, ডাবল ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করেছি, ‘খেলা জিতে’ বার্তা মমতার

যদিও এ বছর নতুন ও জনপ্রিয় মুখ প্রার্থীপদে নিয়ে আসে বামেরা। দীপ্সিতা ধর (বালি), মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (নন্দীগ্রাম), সৃজন ভট্টাচার্য (সিঙ্গুর), ঐশী ঘোষ (জামুরিয়া) সবুজ ঝড়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কেউ। পারেননি দলের বর্ষীয়ান নেতারাও। সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, সুশান্ত ঘোষ এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের পরাজয়ে হতবাক সমর্থকেরাও।

উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি রাজ্যের বামপন্থীরা। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে একটিও আসন পাননি তাঁরা। ২০০৬-এ রাজ্য বিধানসভার ২৩৫টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসা বামফ্রন্টের হাত আজ একেবারেই 'শূন্য'। ঐতিহাসিক একুশ তো বটেই!

Written by Atri Mitra

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal Polls 2021 CPIM West Bengal Election 2021 West Bengal Assembly Election 2021
Advertisment