রাজভবনে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথগ্রহণ করাচ্ছেন রাজ্যপাল ধনকড় ঠিক সেই সময়ই শপথ নিলেন বাংলার বিজেপি বিধায়করা। তবে সাংবিধানিক কোনও রীতি নয়, নিখাদ দলীয় কর্মসূচি মেনেই এই শপথগ্রহণ। এবার ৭৬টি আসন পেয়ে বাংলার প্রধান বিরোধী দলের তকমা পাচ্ছে পদ্ম শিবির। ফলে দলের বিধায়করা যাতে গঠনমূলক বিরোধীর ভূমিকা পালন করতে পারেন তার জন্যই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নেতৃত্বে এই শপথগ্রহণ কর্মসূচি বলে জানানো হয়।
Advertisment
'সোনার বাংলা'র প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবার ভোটে লড়াই করেছিল বিজেপি। মোদী-শাহ জুটি রাজ্যপাঠ দখলে ২০০ আসন জয়েরও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ফালফল প্রকাশ গতেই দেখা যায় ২০০তো দূরঅস্ত, ১০০-র গন্ডিরও অনেক আগেই থামে গিয়েছে পদ্ম বাহিনী। উল্টে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে রমরমিয়ে তৃতীয়বারের জন্য নবানেনর তখতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বাংলা দখলের স্বপ্নকে দূরে ঠেলে যোগ্য বিরোধী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষিতেই এদিনের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
এদিন হেস্টিং হাইসের পার্টি অফিসে শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিকদের শপথবাক্য পাঠ করান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে বাবা সাহেব আম্বেদকরের দেখানো পথে বিধায়করা যাতে যোগ্য বিরোধী হয়ে উঠতে পারে তারই উল্লেখ ছিল শপথে। বিদায়কদের সঙ্গে একই সঙ্গে হাত তুলে শপথ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য এই কর্মসূচির পিছনে অন্য কিছু আঁচ করছেন। বিপুল জয়ের পরই দলত্যাগীদের দলের ফেরার বিষয়ে সুর নরম করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তারপর তেকেই গেরুয়া শিবিরে শঙ্কার মেঘ। নির্বাচিত দলের একাধিক বিধায়ক পদ্ম ছেড়ে জোড়া-ফুলে নাম লেখাতে পারেন সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষ, জেপি নাড্ডারা। তাই দলের বিধায়কদের ধরে রেখতেই এই শপথগ্রহণ কর্মসূচি। তবে, শপথে কাজ হবে তো? বিজেপির অন্দরে এখন এনিয়েই জোর গুঞ্জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন