উলট পুরান! ট্র্যাডিশন বদলে দিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে এতদিন যেকোনো ভোটের পরেই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করত বিরোধী দল। এতদিন সেটাই ছিল দস্তুর। তবে এবারের ভোট সত্যি আলাদা।
প্রথম দফা ভোটের পরে এবার নির্বাচন কমিশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি। কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়ে দিন শেষের আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে জোরালো দাবি করলেন রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দাবি করলেন, প্রথম দফায় ৯০ শতাংশ ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিতে ভোট করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকেও ধন্যবাদ দেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরো বলেন, গত ৬ বছরে এই প্রথমবার রাজ্যের ভোটে কম রাগিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি দিদি বলছি’, নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাকে ফোন মমতার
"নির্বাচন কমিশনের প্রশংসায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই ৬ বছরে প্রথম নির্বাচন, যেখানে সবাই শান্তিপূর্ণ ও নির্ভিক ভাবে ভোট হচ্ছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। প্রথম দফার ভোটে রিগিং কম হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করলাম, আগামী ভোটগুলিও যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়। দ্বিতীয় দফায় আরও সতর্ক হতে হবে।" এমনটাই বলেন তিনি।
তবে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়েও বিজেপি পর্যবেক্ষকের বক্তব্য, ভোটের সময় আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের আগে থেকেই জেলে পুরে রাখা উচিত। এতে আরো সুসম্পন্নভাবে ভোট আয়োজন করা সম্ভবপর হবে।
এদিনই খাসতালুকে আক্রান্ত হয়েছিলেন অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী। অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের সাবাজপুটে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। সেই বিষয়ে বলতে গিয়েই কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরো বলেন, সৌমেন্দুর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। রাজ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি প্রলয় পালের অডিও ক্লিপ ফাঁস করে বিজেপি। সেই ক্লিপে তৃণমূল নেত্রীকে কার্যত আবেদন করতে শোনা যায় প্রলয় পালের কাছে। যদিও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তৃণমূলকে চলতি নির্বাচনে সাহায্যের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেননি।
রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেওয়া এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, "উনি আগে আমাদের কর্মী ছিলেন। ভুল বুঝে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। সৌজন্যের খাতিরেই নেত্রী ফোন করেছিলেন। এই নিয়ে এত হৈচৈ করারকিছু নেই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন