West Bengal Lok Sabha Election 2019: ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী রবিবার। এর আগে সমগ্র দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিও সরগরম। তবে, এ রাজ্যের উত্তাপ সম্ভববত একটু বেশিই। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া সাক্ষী থাকতে চলেছে এক জোড়া 'হেভি ওয়েট' নির্বাচনী সভার। মাত্র কয়েক ঘণ্টার তফাতে এই জেলায় আজ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া, বিজেপিও পাখির চোখ করেছে পূর্ব ভারতের এই রাজ্যকে। ফলে প্রত্যাশিতভাবেই পদ্ম ফুল ও জোড়াফুলের রাজনৈতিক আকচাআকচি চরমে উঠেছে।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ফের উৎখাতের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে ভারত ছাড়া করার ডাক দিয়েছেন মমতা। মমতা বলেন, "১৯৪২ সালে একটা আন্দোলন হয়েছিল। ভারত ছাড়ো আন্দোলন। তখন গান্ধীজি আওয়াজ তুলেছিলেন, ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো। এবার বাংলার মানুষ আওয়াজ তুলেছে, মোদী তুমি ভারত ছাড়ো, মোদী তুমি সন্ত্রাস ছাড়ো"।
শুধু ভারত ছাড়ার প্রসঙ্গই নয়, মমতা বুধবার মোদীকে ব্যক্তি আক্রমণও করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী হলফনামায় স্ত্রীর কোনও উল্লেখ কেন নেই, প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ কথা, যে মানুষ নিজের স্ত্রীকে দেখেন না, তিনি দেশকে কী করে দেখবেন?
এদিকে, ভোট বাংলায় বুধবার বেনজির তর্জায় জড়িয়েছেন কবীর সুমন ও বাবুল সুপ্রিয়। গানওয়ালা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন সম্প্রতি বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদীদের বিরোধিতা করে একটি গান লিখেছেন এবং সে গান সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। এই গানের বিষয়বস্তু নিয়ে নিজের আপত্তির কথা সুমনকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। দু'জনের মধ্যে এ বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে যে কথোপকথন হয়েছে, তা সুমন ফেসবুকে তুলে দিয়েছেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। বাবলুকে সরাসরি সঙ্গীতের মঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কবীর সুমন।
Live Blog
বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী, কতকটা এমনই ঢঙে নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, Follow the Updates here:
তিনি বলেন, “ওরা আমার মাকেও গাল দিতে ছাড়েনি এবং এমনকি আমার বাবা কে তাও জিজ্ঞাসা করে হয়েছিল। এসবই করা হয়েছে আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর।”
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পরই তাঁকে এসব গালাগালের মুখে পড়তে হয়েছে। মোদী বলেন, “আমি ওদের দুর্নীতি বন্ধ করেছি এবং ওদের পারিবারিক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছি, সে কারণেই ওরা ভালবাসার মুখোশ পরে আমাকে গালাগাল দেয়।”
পুরুলিয়ায় মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলা। বসার জায়গা না পেয়ে চেয়ার ও জলের বোতল ছোড়ে উপস্থিত জনতা। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এসপিজি এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে রাজ্য পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ও জলের বোতল ছুড়েছে বিজেপি কর্মীরা। এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর খোঁচা, যে একটা সভা পরিচালনা করতে পারে না, সে কী করে দেশ পরিচালনা করবে?
বাঁকুড়ায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী সভা মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার মোদীকে ফের নিশানা করেন মমতা। এদিনই মমতাকে অহংকারী বলেছেন মোদী। তার পাল্টা মমতা বলেন, ''পাঁচ বছরে কি ঢোল বাজিয়েছেন ? মিথ্যে বললে ১০০ বার ওঠবোস করতে হবে। দেশের এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্ধ্বত, দাম্ভিক। আপনাদের বিরুদ্ধে গরু পাচারের প্রমাণ আছে পেন ড্রাইভে। গুজরাট মামলায় ক্লিনচিট পেয়েছেন ভয় দেখিয়ে। প্রমাণ দিন, আমার সব প্রার্থীরা কয়লা মাফিয়া। প্রমাণ দিন, তাহলে আমি সব প্রার্থী তুলে নেব"। উল্লেখ্য, নির্বাচনী সভায় এসে খনিজ সম্পদে পূর্ণ বাঁকুড়ায় মোদী বলেছেন আপনারা কালো সোনার (কয়লা) উপর বসে আছেন।
আপনারা কালো সোনার উপর বসে আছেন। কিন্তু এখানকার সরকার সেটা লুট করছে। কেন্দ্রীয় যোজনা ঠিক করে এখানে কাজ করতে পারছে না। বিজেপি জিতলে জলের সুরাহা করবে বলে আশ্বাস দিলেন মোদী। কৃষকদের ব্যাঙ্কে সরাসরি টাকা ঢুকবে, বললেন মোদী।
মমতা বাংলা গুণ্ডারাজ তৈরি করেছেন। পুরুলিয়ায় প্রচারে মোদী। দিদির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। পতনের দিন শুরু মমতার। মানুষ এবার তাদের কাজের হিসাব নেবে। তৃণমূলের ক্যাডারদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আপনি তো থাপ্পড় মারতে চান কিন্তু আমি আপনাকে সম্মান করি।
রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। রাহুল ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে পারবেন না, সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই দাবী করেছিলেন আবেদনকারী। এদিন সেই আবেদনই খারিজ হয়ে গেল। দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক কিনা এ বিষয়ে ব্যাখা তলব করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। Supreme Court dismisses the petition seeking to direct the Election Commission of India (ECI) to debar Congress President Rahul Gandhi from contesting the Lok Sabha polls after he had “voluntarily acquired British nationality.” pic.twitter.com/12OXvbZKxx— ANI (@ANI) May 9, 2019
বাঁকুড়ায় মোদীর ভাষণ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরুলিয়ায় মোদীর সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা। চেয়ার ও জলের বোতল ছোড়ার অভিযোগ। রোদের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ছাউনিতে আসতে চেয়েই গোলমাল।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। একদিনে যেমন তাঁরই প্রচারে বাঁকুড়ায় মোদী, তেমনই উল্টো দিকে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবীতে ধর্নায় বসলেন পদ্মফুল প্রার্থী।
শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভ দিদির। চেয়ার বাদ দিয়ে কিছুই বোঝেন না। দিদির অভিধানের সব গালি আমি হজম করার ক্ষমতা রাখি। এদিন তৃণমূলের তোলাবাজদেরও একহাত নেন তিনি। টিএমসির সিন্ডিকেট নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুললেন মোদী।
বিজেপির সভা আটকানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। সাইক্লোনের সময় আমি দু'বার ফোন করলেও ধরেননি তিনি। কেন্দ্রকে কোনও সাহায্য করতে সহযোগীতা করেননি। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মানতে রাজি নন মমতা, মোদী। পাকিস্তানের প্রধামন্ত্রীকে মানতে রাজি উনি।
বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করে ভাষণ শুরু করলেন মোদী। প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক মোদী। রাজ্যে শান্তি ফিরুক, মোদী।
একসঙ্গে কাজ করেন বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিআইএম। মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলে CID আর ইডি ডেকে ভয় দেখান তিনি, মমতা
সকাল ১১ টায় বাঁকুড়ায় পৌঁছবেন মোদী। এখন সেই সভার উদ্দেশ্যেই রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু বুধবারই বাংলায় এসে পৌঁছেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হয়ে প্রচারে অংশ নেবেন বলেই তাঁর এই আগমন। বৃহস্পতিবার এ রাজ্যে প্রচার করবেন চন্দ্রবাবু। এর আগে তৃণমূল নেত্রীও তাঁর রাজ্যে টিডিপি-র হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। গতকাল বংলায় আসার আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ২১ তারিখ অ-বিজেপি দলগুলির নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। সে বিষয়েই রাগার সঙ্গে দেখা করে মমতার রাজ্যে আসেন চন্দ্রবাবু।