West Bengal Lok Sabha Election 2019: রামনবমীর মিছিল নিয়ে বিজেপিকে ফের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘কিছু রাজনৈতিক দল মিথ্যা ধর্মের আনদানি করেছে, যার সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতির মিল খায় না, ভারতের সংস্কৃতির মিল খায় না। একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াচ্ছে, সন্ত্রাস করছে। এদের ফ্যাসিবাদী শক্তি বলি। ধর্ম মানে হিংসা নয়, যুদ্ধ নয়। ধর্ম মানে মানবিকতা।’’ তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘‘ধর্ম বেচে খাবেন না, ধর্মকে আমরা সম্মান করি। ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন পড়ে না। নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে, তার মধ্যে রামনবমীর মিছিল করছে। তোমরা আজ কেউ কেউ গদা নিয়ে, কেউ তরোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছো। নিয়ে কার মাথা ফাটাবেন, কার গলা কাটবেন তরোয়াল দিয়ে? বাংলায় এসব করে ভোট হয় না।’’
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
অন্যদিকে, প্রথম দফার ভোটে অশান্তির প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য বিজেপির বিক্ষোভে হুলস্থুল পড়ে গেল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতের। মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদাররা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরের মেঝেয় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন। যেসব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করা যায়নি, তাঁদের অবিলম্বে সরানোর দাবি জানিয়েছেন মুকুলরা। একইসঙ্গে ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে স্ক্রুটিনি করে কোচবিহারের ২৯৭ ও আলিপুরদুয়ারের ৪২টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মুকুল এও বলেছেন, ‘‘কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোটের ফল বিজেপির পক্ষেই যাবে। ভোটের ফলাফল বিজেপি ২, অন্যান্য ০।’’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক ঘিরে জট যেন কাটছেই না। ৫ এপ্রিলের পর গতকালই ছবি মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু শেষবেলায় নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় মোদীর বায়োপিক মুক্তি আটকে যায়। এবার কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন ছবির প্রযোজক সন্দীপ সিং। আগামী ১৫ এপ্রিল এ মামলার শুনানি। একদিকে যখন মোদীর বায়োপিক ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি নমো টিভি নিয়েও বেড়েছে জট। অনুমোদন ছাড়া নমো টিভিতে কোনও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু সম্প্রচার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে, নির্বাচনী বন্ডের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সবকটি রাজনৈতিক দলকে গৃহীত অনুদানের বিশদ বিবরণ নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘মুখবন্ধ’ খামে জমা দিতে হবে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। আগামী ৩০ মে-র মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলি যাতে এ ব্যাপারটি কমিশনকে জানায়, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Live Blog
শুক্রবার কার্শিয়ঙে সভার পর আজ ভোটপ্রচারে শিলিগুড়িতে সভা করলেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: ভোটের মরশুমে এনডিএ-র সঙ্গে মমতার হাত মেলানো নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন মুকুল রায়। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘কংগ্রেসেরও সঙ্গেও ছিলেন, এনডিএতেও উনি ছিলেন। দল পাল্টিতে ওঁর জুরি আর কেউ নেই। ১ মিনিটের মধ্যে দল পাল্টি করার জুরি নেই আর। ভবিষ্যতে কী হবে বলতে পারছি না।’’ অন্যদিকে, সারদা-নারদ-রোজভ্যালিকাণ্ড নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুকুল। বিজেপি নেতার দাবি, ডেলোয় সুদীপ্ত সেনের পাশাপাশি গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়েছিল। তবে গৌতমের সঙ্গে ডেলোর বৈঠকে তিনি ছিলেন না।
এদিকে, জলপাইগুড়ির একটি নির্বাচনী সভায় মুকুল রায়কে একহাত নেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘ ‘‘কয়েকটা উচ্ছিষ্টকে আমরা ভ্যাটের বাক্সে, ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি। তাঁদের নিয়ে মাতামাতি করছে বিজেপি। কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী একজন স্মাগলারের হাত ধরে বলছে, ভোট দিন। স্মাগলারও চৌকিদার, দু’নম্বরিও চৌকিদার, ভাঁওতাবাজও চৌকিদার, ডাকাতও চৌকিদার। চোরেদের একটাই ঠিকানা, বিজেপি। পচা পদ্মের এমন জাদু, যোগ দিলেই চোর সাধু।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এবার নিশানা করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের টাকায় মোদী, তুমি বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছো, তোমার লজ্জা লাগা দরকার। আমার টাকা, আপনার টাকা, সেই টাকায় তুমি শুধু ভ্রমণ করছ। আর বড় বড় কথা বলছ। একটা কাজের কথাও বলছ না তুমি, খালি মিথ্যাবাদী ভাষণ দিচ্ছ।”
ফেসবুকে ফেক নিউজ করে বিজেপি। সকলকে ট্যাপ করে। কারও কোনও স্বাধীনতা নেই, কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই: মমতা
কে কী খাবেন, সেটা মোদী ঠিক করে দিচ্ছেন কেন? এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যান, সব ননভেজ বন্ধ। বলছে দুর্গাপুজো নাকি হয় না, বলছে লক্ষ্মী পুজো নাকি হয় না। লক্ষ্মী পুজোর মন্ত্র জানেন? সরস্বতীর মন্ত্র বলতে পারবেন না, খ্রিস্টানদের মন্ত্র পারবেন না। ওরা নকল গেরুয়া পরেন, আর ভিতরটা ঝাড়ুয়া, আমি বলছি না, লোকে বলছে: মমতা
কিছু রাজনৈতিক দল মিথ্যা ধর্মের আনদানি করেছে, যার সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতির মিল খায় না, ভারতের সংস্কৃতির মিল খায় না। একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াচ্ছে, সন্ত্রাস করছে। এদের ফ্যাসিবাদী শক্তি বলি। ধর্ম মানে হিংসা নয়, যুদ্ধ নয়। ধর্ম মানে মানবিকতা: মমতা
ধর্ম বেচে খাবেন না, ধর্মকে আমরা সম্মান করি। ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন পড়ে না। নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে, তার মধ্যে রামনবমীর মিছিল করছে। তোমরা আজ কেউ কেউ গদা নিয়ে, কেউ তরোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছো। গদা নিয়ে কার মাথা ফাটাবেন, কার গলা কাটবেন তরোয়াল দিয়ে? বাংলায় এসব করে ভোট হয় না: মমতা
রামনবমী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বিজেপির। খড়গপুরে রামনবমী উদযাপন করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। যাদবপুরে মিছিলে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে রামনবমীর মিছিল ঘিরে সতর্ক কমিশন।
ভোটের মরশুমে এনডিএ-র সঙ্গে মমতার হাত মেলানো নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন মুকুল রায়। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘কংগ্রেসেরও সঙ্গেও ছিলেন, এনডিএতেও উনি ছিলেন। দল পাল্টিতে ওঁর জুরি আর কেউ নেই। ১ মিনিটের মধ্যে দল পাল্টি করার জুরি নেই আর। ভবিষ্যতে কী হবে বলতে পারছি না।’’ বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে ‘দল পাল্টিতে মমতার জুরি নেই’