Advertisment

West Bengal Lok Sabha Elections 2019: "আগে হাতে ছিল কেটলি, এখন সাথে জেটলি", তীব্র ভাষায় মোদীকে আক্রমণ মমতার

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার সমর্থনে করা এই জনসভা থেকে মোদীকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। মেদিনীপুরের জন্য একগুচ্ছের প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন জনসভা থেকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
'কাটমানি' নিয়ে কাউন্সিলরদের তোপ দাগলেন মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতনের জনসভা থেকে মোদীকে আবারও একহাত নিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা মানস ভুঁইয়ার সমর্থনে রবিবার জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। এই সভা থেকেও দিল্লি দখলের ডাক বহাল রাখলেন তিনি। এদিন মঞ্চ থেকে মোদীকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করে মমতা বলেন," আগের বার ভোট চাইতে এসে নাটক করে বলেছিল, আমি চা-ওয়ালা, চা এর ভাড় নিয়ে ঘুরলো, কেটলি নিয়ে ঘুরলো, এখন তো আর সাথে কেটলি নেই, সাথে আছে জেটলি। এখন আবার বলছে উনি চা-ওয়ালা নয়,উনি চৌকিদার"। এরপরই নেত্রীর বক্তৃতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে "চৌকিদার চোর হ্যায়" রব ওঠে জনসভায়। এদিন দাঁতনের মঞ্চ থেকে বিজেপির পাশাপাশি সিপিএম-এর উদ্দেশে তোপ দেগে তিনি বলেন, " সিপিয়েমের হার্মাদেরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে"।

Advertisment

কালো টাকা, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন, মাওবাদী প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে দিল্লি দখলের লড়াই যে তিনি অব্যাহত রাখছেন তা আরও একবার বুঝিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মোদীর আশ্বাস দেওয়া ১৫ লক্ষ টাকা পায়নি দেশের অধিকাংশ জনগণ, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সভা থেকেই হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, "হয় ১৫ লাখ দাও, নয় বিদায় নাও"। মমতার এই কথার পর হাততালিতে ফেটে পড়েছেন উপস্থিত মানুষ। এদিন মেদিনীপুরের জন্য একগুচ্ছ নয়া প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামি দিনে মহিলাদের জন্য তিনি স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা করবেন যেখানে পাওয়া যাবে ৫ লক্ষ টাকা অবধি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ। এছাড়াও কৃষকদের খাজনা মুকুব এবং মৃত্যুর পর ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

আরও পড়ুন শ্রীমতী সোনিয়া গান্ধী, আপনি কোথায়?

বিজেপির মিহিদানার পাল্টা হিসাবে তৃনমূল নেত্রী অনেকদিন আগেই বলেছিলেন মোদীর জন্য উপহার হিসেবে তিনি "মাটির লাড্ডু" বানিয়ে রাখবেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে বললেন " ভোটে আমার মা বোনেরা স্টনচিপ আর বালি দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে রাখবে। খেলেই দাঁত ভাঙ্গবে। আর মিথ্যা কথা বলতে পারবে না। বাংলায় আসেন, আর ঝুরি ঝুরি মিথ্যা কথা বলেন"।

আরও পড়ুন ‘দেশপ্রেমের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বেকারত্ব’

এদিনের সভা থেকে "অপদার্থ বিজেপি"কে দেশ থেকে হঠিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। মানস ভূঁইয়ার সমর্থনে করা এই জনসভা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তবে ফণীর কারণে মেদিনীপুরের বিস্তীর্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জনসভায় উপস্থিত জনতাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফণীর প্রভাবে ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলি মেরামতের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিডিওকে।

General Election 2019
Advertisment