রাজস্থান নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মরিয়া কংগ্রেস হাইকমান্ড। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট একটি ছবি শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে তিনি এবং শচীন পাইলট একসঙ্গে বসে রয়েছেন। এখন রাহুল গান্ধীও এই দুই নেতার এক সঙ্গে থাকার কথাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাজস্থান নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই কাছাকাছি গেহলট-পাইলট। অন্তত এমন ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছে কংগ্রেস হাইকমাণ্ড। কংগ্রেসের দুই নেতার মধ্যে ঘনিষ্ঠতার খবরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত রাজস্থানে বিভক্ত কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীকে এক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী গেহলট একটি ছবি শেয়ার করে এই প্রচারে ঝড় তুলেছে। এখন দলের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীও প্রচারে এসে এই বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
অবশেষে রাজস্থানে ভোটপ্রচারে রাহুল গান্ধী। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজস্থানে রাহুল গান্ধীর সভা ও রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলট কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে জয়পুর বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন । গেহলট এবং পাইলটকে একসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাহুলের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরে, রাহুল গান্ধী সেখানে পৌঁছলে, সাংবাদিকরা তাঁকে একই প্রশ্ন করেন। সত্যি কি দুই নেতা একসঙ্গে ? প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী মিডিয়ার সামনে এসে বলেন- 'আমাদের একসঙ্গে কেবল দেখা যাচ্ছে তাই নয়, আমরা একসঙ্গে আছি, থাকব এবং কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে জিতবে। এ কথা বলেই এগিয়ে যান রাহুল গান্ধী। এসময় তার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট।
এটা কি কংগ্রেসের সংঘাত দমনের চেষ্টা?
আসলে, ২০১৮ সালে রাজস্থানে কংগ্রেসের জয়ের পরে এই দুই নেতার মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। ২০২০ সালে, বিশৃঙ্খলা বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল, যার পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এই হস্তক্ষেপের পরও দীর্ঘদিন ধরে এই দুই নেতার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে, যখন নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে, দলটি এমন এক ফর্মুলা নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে যাতে তারা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ প্রকাশ না করেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এই দুই নেতাকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলের হাইকমাণ্ড।