নির্বাচনী জনসভায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে "মোদীজি কি সেনা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-র সেনা)" বলে অভিহিত করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধী দলগুলি আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তিনি দেশের সেনাবাহিনীর অমর্যাদা করছেন।
রবিবার এক নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে আদিত্যনাথ বলেন, "কংগ্রেসের লোকেরা সন্ত্রাসবাদীদের বিরিয়ানি খাওয়াতেন, আর মোদীজি-র সেনা সন্ত্রাসবাদীদের গুলি এবং বোমা খাওয়ায়। এটাই তফাৎ। কংগ্রেসের কেউ কেউ মাসুদ আজহারের নামের পাশেও 'জি' সম্বোধন বসান উগ্রপন্থীদের আস্কারা দিতে।" তিনি আরও যোগ করেন, "কংগ্রেসের পক্ষে যা অসম্ভব ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদীর পক্ষে তা সম্ভব। মোদী থাকলে সব অসম্ভব সম্ভব হয়ে যায়।"
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের নেতৃত্ব, যাঁদের মতে, সেনাবাহিনী সমগ্র দেশের সম্পদ, কোনও "প্রচার মন্ত্রীর" নিজস্ব সম্পত্তি নয়। টুইটারে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, "এখন ভারতীয় সেনার নাম বদলে মোদীর সেনা করে দিয়েছেন সিএম আদিত্যনাথ। এটা আমাদের সেনাবাহিনীর অপমান। তারা ভারতের সেনাবাহিনী, কোনও প্রচার মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সেনা নয়। আদিত্যনাথের উচিত ক্ষমা চাওয়া।"
প্রতিবাদে সামিল হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিত্যনাথের মন্তব্যকে "স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো" আখ্যা দিয়ে বলেন, "উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভারতীয় সেনার বদলে 'মোদী সেনা' শুনে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়। এত খোলাখুলি ব্যক্তিগতকরণ এবং আমাদের অত্যন্ত প্রিয় ভারতীয় সেনার এইভাবে দখল নেওয়া, অত্যন্ত অপমানজনক। আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের। আমাদের সকলের সম্পদ। দেশের 'অ্যাসেট', বিজেপির 'ক্যাসেট' নয়। দেশের মানুষের উচিত, একজোট হয়ে এই মন্তব্যের বিরোধিতা করা।"
Read the story in English