সিঙ্গুরেরে বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের গেরুয়া শিবিরের যোগদান ও প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিস্ময়ের সুর শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। বুধবার সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মাস্টারমশাই কীভাবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ান! শুনে তো আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। আমি বুঝিয়ে ওনাকে বলেছিলাম। আপনি বয়ঃজেষ্ঠ্য, পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য হয়ে দলকে পরামর্শ দিন। কিন্তু উনি রাজি হলেন না।'
এরপরই ৯০ বছরের মাস্টারমশাইয়ের কাছে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে সহায়তার আর্জি জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'মাস্টারমশাই বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর এবারের নির্বাচনে বেচারামকে জেতাতে সাহায্য করুন।'
তবে, বাকিটা স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে রবীন্দ্রমাথ ভট্টাচার্যকে নিশানা করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। মমতার কথায়, '৯০ বছরের বেশি বছর বয়স ওনার, এখন ওকে একটু কেউ গা মালিশ করে দেবে, কেউ একটু মাথা টিপে দেবে, কেউ একটু সেদ্ধ ভাত করে দেবে, তা না করে বিজেপি ওনাকে এই গরমে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিলো!'
এরপরই মমতার সংযোজন, '' এরপরই মমতা চলে যান হুগলিরে আরেক বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে। সাংসদদের প্রার্থী করা নিয়ে এর আগেও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তিনি আবারও বলেন, 'লকটে সাংসদ, তাও ওঁকে টেনে এনে আবার দাঁড় করিয়েছে। বাঘ থেকে হল বিড়াল, এরপর বিড়াল থেকে হবে ইঁদুর।'
যদিও মমতার আবেদ নাকচ করেদুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছেন সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেছেন, 'আমার লড়াই দুর্নী, তোলাবাজি, কাটমানির বিরুদ্ধে। আমার সঙ্গে বেচারামের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই নির্বাচনে ওকে জাতাতে সহায়াতার কোনও সুযোগ নেই। এখন লড়াইই একমাত্র পথ।'
প্রচারমঞ্চ থেকে এদিন অবশ্য সিঙ্গুর ও হরিপালের তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম ও করবী মান্নাকে কাছে ডেকে নেন মমতা। গত ১০ বছরের বেচারাম খুববভালো করে উন্নয়নের কাজ করেছে বলে জানান। একই সঙ্গে সিঙ্গুরে প্রথমে কৃষি নির্ভর পরে বড় শিল্পায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন