স্কুলের প্রজেক্টের জন্য আস্ত একটা গান বানিয়েছে আর্ষা। গানের বার্তাই মোহিত করেছে দর্শককে। ভারতীয় সংবিধানে যে ২২টি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেই ভাষাগুলোকে বেছে নিয়েছে আর্ষা।
বিবিধের মাঝে মিলন যে এই দেশের রক্তে, তা আরও একবার প্রমাণ করল এই গান। ভারতের মানুষ মুগ্ধ ওবেরয় ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের ছোট্ট মেয়েটার আশাতীত প্রয়াসে। আর্ষা মুখোপাধ্যায়, বয়স ১৫, একটা গানকে ২২টি ভাষায় তৈরি করে আপাতত সোশাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে সে। স্কুলের প্রজেক্টের জন্য চার মাসের পরিশ্রমে আস্ত একটা গান বানিয়েছে আর্ষা। গানের বার্তাই মোহিত করেছে দর্শককে। ভারতীয় সংবিধানে যে ২২টি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেই ভাষাগুলোকে বেছে নিয়েছে আর্ষা।
Advertisment
এই কাজে তাকে সাহায্য করেছেন সঙ্গীত পরিচালক রাজা নারায়ণ দেব। তাঁর কথায়, ''আমি তো ভাবিনি এভাবে গানটা জনপ্রিয় হয়ে যাবে। ও প্রথমে একটা স্ক্র্যাচ তৈরি করে শুনিয়েছিল। তখনও গানের কথা তৈরি হয়নি। তবে ওর ভাবনাটা ভাল ছিল। এই জন্য আর্ষার খাটনিও হয়েছে প্রচুর। প্রথমে গান তৈরি, তারপরে প্রফেশনাল ট্রান্সলেটর দিয়ে বিভিন্ন ভাষায় গানের কথাগুলো লেখা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় রেকর্ডিংয়ের সময় আধঘন্টা করে দুটো লাইন তৈরি করা (যতটা সম্ভব নির্ভুল উচ্চারণে)... কিছু ভাষা জানলেও কোঙ্কনি, বোরো, সাঁওতালি, মৈথিলী শিখতে হয়েছে। অসাধারণ গেয়েছে আর্ষা।''
তবে ভিডিওতে ইংরেজিতে গানের কথাও লিখেছে আর্ষা। প্রসঙ্গত, আর্ষা হল পরিচালক বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়ের কন্যা। মেয়ের গানের প্রসঙ্গে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন, ''সত্যি ভাল লাগছে। ইন্টারেস্টিং প্রজেক্ট হচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু সেটা যে এভাবে জনপ্রিয়তা পাবে সেটা আশা করিনি।'' সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানও প্রশংসা করেছেন আর্ষার এই উদ্যোগের। যে ভারতবর্ষকে আগামী দেখতে চায় সেই ভাবনাকে প্রকাশ করার প্রচেষ্টাকেই প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।