সিনেমার শুটিংয়ের জন্য সুইজারল্যান্ড, ব্যাংককের পাশাপাশি কলকাতা শহরেও যে আসা যায় তার উদাহরণ বারবার মিলেছে বলিউডে। 'পরিণীতা'-য় কলকাতার ছোঁয়া বলুন কিংবা পরবর্তীতে 'বরফি', 'পিকু', 'লুটেরা', 'তিন', 'মেরি পেয়ারি বিন্দু'- বেশ কয়েকটি নাম বলে দেওয়া যায়। আচমকা কথাগুলো বলার কারণ কিন্তু হেরিটেজ টুর। সামনেই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, শহরে বিশ্ব সিনেমার উদযাপন। সেই সঙ্গে বাংলাকে বিশ্বের দরবারে মেলে ধরার প্রয়াসও বটে। এবারের ফেস্টিভ্যালে অনেক কিছু নতুন বিষয় চোখে পড়ার মতো। তার মধ্যে অন্যতম 'হেরিটেজ সাইট ট্রিপ'।
এবছর ২৫তম বর্ষে পা দিচ্ছে এই চলচ্চিত্র উৎসব। তাই রাজ্য সরকারকে একটু বেশি তৎপর সেকথা বলাই বাহুল্য। উৎসবের বিদেশি ডেলিগেটদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে এই টুরের। যেখানে কলকাতার সমস্ত হেরিটেজ শুটিং স্পটগুলো দেখানোর পরিকল্পনা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রিজ, বিভিন্ন শুটিং বাড়ি, রেড রোড, প্রিন্সেপ ঘাট, ইকো পার্কের মতো জায়গা তুলে ধরবে কলকাতার শুটিং লোকেশন।
আরও পড়ুন, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অভিনবত্বের ছোঁয়া, ঘোষণা কমিটির
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রধান সচিব বিবেক কুমার এদিন জানালেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালক ও সিনেপ্রেমীরা আসবেন কলকাতায়। ফেস্টিভ্যালের পাশাপাশি শহরের অনেক জায়গা দেখানো হবে তাদের। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, প্রথমবার থ্রিডি ছবি দেখানো হচ্ছে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। বাংলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেবার সমস্ত প্রয়াস করছেন মুখ্যমন্ত্রী। উৎসবের মুখ্য উপদেষ্টা অরূপ বিশ্বাস। তিনি এদিন বলেন, কলকাতার শুটিংয়ের জায়গাগুলো, স্টুডিও- সমস্ত কিছু দেখানো হবে বিদেশি ডেলিগেটদের।
২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো ৮টি ক্লাসিক ফিল্ম। ৯ নভেম্বর রোজ্যালি অ্যান্ডারসন ম্যাকডুগাল মাস্টার ক্লাস নেবেন কলকাতা ইনফরমেশন সেন্টারের কনফারেন্স হলে। ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর মাস্টার ক্লাস নেবেন জার্মান পরিচালক ভোলকার স্ক্লনডর্ফ।রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগে থাকবে জার্মান পরিচালক আলেকজ়ান্ডার ফ্লুগে এবং স্লোভাকিয়ার পরিচালক দুসান হানাকের ছবি।
আরও পড়ুন, রাতে উঠতে হলে মাকে ডাকি, একা ঘুমোতে পারি না: দিব্যজ্যোতি
সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন জানানো হল, এবার ১৭টি সিনেমা হলে দেখানো হবে ছবি। এগুলি হল- নন্দন এক, নন্দন দুই, নন্দন তিন, রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, বিজলি, প্রিয়া, মিনার, নবীনা, অজন্তা, পিভিআর অবনি, আইনক্স সিটি সেন্টার ওয়ান, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, নজরুল তীর্থ, নিউ এম্পায়ার, নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম এবং চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন। সবমিলিয়ে জমজমাট এবারের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।