5 Films Banned in India: ভারতে সিনেপ্রেমী মানুষের অভাব নেই। যখন নতুন কোন ছবি রিলিজ করে, কিংবা বড় কোন সুপারস্টারের ছবি রিলিজ করে, তখন দল বেধে তারা সিনেমা দেখতে যান। শুধু তাই নয়, দায়িত্ব নিয়ে ছবি হিট পর্যন্ত করান। ভারতের বুকে নানান ধরনের ছবি হয়েছে। বহু পরিচালক বিভিন্ন ধরনের ছবি বানিয়েছেন। কোনটা অতিরিক্ত বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, আবার কোনটা সাংঘাতিক রেভলিউশন এনে দিয়েছে। কিন্তু এমন কিছু ভারতীয় ছবি আছে যেগুলি ভারতেই ব্যান করা হয়েছিল। যে ছবি দেখতে এক সময় নিষেধ ছিল ভারতবাসীর।
এই ছবিগুলোর নাম জানেন? চাইলে আপনিও দেখতে পারেন এই ছবিগুলি। ইউটিউবে দেখা যায় সেই ছবিগুলির অনেকগুলোই। এক নজরে দেখে নিন সে ছবিগুলো কোনগুলি।
কিসসা কুরসী কা: পরিচালক অমৃত নাহাতার এই ছবি, এমার্জেন্সি পিরিয়ডের সময় ব্যান করে দেওয়া হয়। এই ছবিটা দেখানো হয়েছিল করাপশন এবং রাজনীতির এক অদ্ভুত ক্ষমতা। সেই কারণে এই ছবিটিকে ব্যান করে দেওয়া হয় কিন্তু বর্তমানে ইউটিউবে এই ছবি দেখা যায়।
ফায়ার: দীপা মেহতার ফায়ার ছবিটি ভারতের বুকে ব্যান করে দেওয়া হয়। কারণ এই ছবিতে, নারী সমকামী তাকে দেখানো হয়েছিল। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের তরফ থেকে এই ছবি বন্ধ করতে আলোড়ন ফেলে দেওয়া হয়। দাবি করে সেন্সরশিপের। এই সিনেমা ইউটিউব এবং অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে দেখা যেতে পারে।
আনফ্রিডম: রাজ অমিত কুমারের ডেবিউ ফিচার ফিল্ম, ভারতে ব্যান করে দেওয়া হয় কারণ এই ছবিটা ধর্মীয বিষয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য দেখানো হয়। তবে বর্তমানে এই ছবি netflix এ দেখা যেতে পারে।
অ্যাংরি ইন্ডিয়ান গডেসেস: পান নলিনের এই ছবি, এমন এক ছবি, যেখানে নারী ক্ষমতায়নকে চিত্রিত করা হয়েছিল। এই ছবিতে নারী উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সমকামিতাকেও তুলে ধরেন পরিচালক। তার সঙ্গে শেষে এও দেখান, মেয়েরা চাইলে ক্ষমতাও নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারেন এবং তখন গোটা সমাজ তার সঙ্গে থাকে। এই ছবি ও ব্যান করে দেওয়া হয় ভারতবর্ষে। দেখা যেতে পারে ইউটিউবে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে: ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বম্বিং এর ওপর, এই ছবি বানিয়েছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। এবং এই কারনে সেন্সর বোর্ড ছবি রিলিজে, প্রায় তিন বছর সময় নিয়ে নেয়। পরবর্তীকালে TADA আইনের পর এই ছবি রিলিজের অনুমতি দেওয়া হয়।