৬৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (68th National Film Awards) অনুষ্ঠানে বাজিমাত বাংলা সিনেমা ‘অভিযাত্রিক’-এর। বাংলার সেরা ছবির তকমা পাওয়ার পাশাপাশি সিনেম্যাটোগ্রাফি বিভাগেও সেরার শিরোপা পেয়েছে ‘অভিযাত্রিক’। বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার ভীড়ে এই সাফল্য মান রেখেছে বাঙালি সিনে-প্রেমীদের। সেই ছবির নায়ক-নায়িকা অর্জুন চক্রবর্তী এবং দিতিপ্রিয়া রায় ততোধিক উচ্ছ্বসিত।
দিতিপ্রিয়ার গলায় উচ্ছ্বাস ধরে পড়েছে। 'খুকু' অভিনেত্রী ‘অভিযাত্রিক’ (Avijatrik)-এ অপুর স্ত্রী অপর্ণা। শর্মিলা ঠাকুর যে চরিত্রকে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন, কয়েক দশক বাদে সেই ভূমিকাতেই শুভ্রজিৎ মিত্রের ছবিতে দেখা গিয়েছে দিতিপ্রিয়াকে। আর জীবনের পয়লা ছবির নায়িকা হয়েই জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে বাজিমাত করে ফেলেছেন দিতিপ্রিয়া রায়। এও কি কম কথা? নেপথ্যে অবশ্যই পরিচালক শুভ্রজিৎ।
<আরও পড়ুন: খুনের হুমকি আসছে! প্রাণ বাঁচাতে ভয়ে মুম্বই পুলিশের কাছে ছুটলেন ভিকি-ক্যাটরিনা>
দিতিপ্রিয়ার (Ditipriya Roy) মন্তব্য, "মিসকলে ভরে উঠেছে কল লগস। এর থেকে আর বড় কী-বা হে পারে। প্রথমটায় একটু হতভম্ব-ই হয়ে গেছিলাম। খবরটা শোনার পর থেকেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। প্রথম কোনও ছবিতে আমি নায়িকার ভূমিকায়, আর সেই ছবিই জাতীয় পুরস্কার পেল। ২টো বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেল ‘অভিযাত্রিক’। সিনেমায় একটাও সংলাপ নেই আমার। খুব যত্ন নিয়ে সিনেমাটা করেছে গোটা টিম। তাই সকলকে টিমের শুভেচ্ছা। আমাদের সবার এত খাটুনি স্বার্থক আজ।"
নায়ক অপু ওরফে অর্জুন চক্রবর্তীও (Arjun Chakraborty) ততোধিক উচ্ছ্বসিত। বলছেন, "অসাধারণ একটা মুহূর্ত। ৬৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ 'অভিযাত্রিক'কে সেরা বাংলা সিনেমার শিরোপা দেওয়ার জন্য।"
পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর মন্তব্য, "আমি সপ্তম স্বর্গে। গোটা বাংলার কাছে গর্বের। এই পুরস্কার আমার স্বর্গীয় বাবাকে উৎসর্গ করছি। উনি জানতেন 'অভিযাত্রিক' তৈরি করছি, কিন্তু ছবিটা দেখে যেতে পারেননি। গোটা টিমের জন্য গর্বের মুহূর্ত।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন