তীব্র গরমের দহন। তাতে শুধু মানুষই নয়। পশু-পাখিও জলাভাবে ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির দুই ভাই নাদিম শেহজাদ ও মহম্মদ সউদ পাখি উদ্ধারে হাত লাগিয়েছেন। দিল্লির বুকে ২০০৩ থেকে শুরু হয়েছিল তাঁদের পথচলা। আজ ওয়াজিরাবাদে তাঁরা পাখির ক্লিনিক চালান। নিরাশ্রয় পাখিদের আশ্রয় দেন। গরমের সময় পাখিদের তৃষ্ণা মেটানোর মেটানো ব্যবস্থা করেন। অসুস্থ পাখিদের সুস্থ করে ফিরিয়ে দেন ডানা মেলার ক্ষমতা। তাদের ফিরিয়ে দেন আকাশ।
এবছর ইতিমধ্যে ৭৫০ পাখির দায়িত্ব নিয়েছেন নাদিম আর সউদ। তাঁদের নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন বাঙালি পরিচালক শৌনক সেন। নাম দিয়েছেন, 'অল দ্যাট ব্রেদস'। এবছর কান চলচ্চিত্র উত্সবে সেই তথ্যচিত্র জিতে নিল গোল্ডেন আই পুরস্কার। শুধু কান-ই নয়। একের পর এক চলচ্চিত্র উত্সবে এখন জুরিদের ভাবাচ্ছে দেড় ঘণ্টার এই ছবি। এই বছরের গোড়াতেই যেমন 'সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-এ গ্র্যান্ড জুরি ডকুমেন্টারি পুরস্কারও পেয়েছে 'অল দ্যাট ব্রেদস'।
ছবিটি তৈরি করতে লেগেছে তিন বছর। তার মধ্যেই বিদেশি মুদ্রা আইনে সাহায্যও পেয়েছে। তা-ও এসেছিল ২০২০ সালে। যখন গোটা বিশ্ব করোনায় খিড়কিবন্দি। নাদিম আর সউদ চান, তাঁদের এই চেষ্টায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাকিরাও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসুক। তৃষ্ণার্ত এবং অসুস্থ পশু-পাখিদের সাহায্য করুক। তাঁদের ছবির প্রচার যত হবে, তত মানুষ এই বিষয়ে নজর দেবে। এই বিশ্বাস থেকে এখন বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের দোরে দোরে এই ছবি তুলে ধরায় শৌনক সেনের সঙ্গে তাঁরা হাত লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুন- পঞ্জাবে খুন গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালা, প্রশ্নের মুখ আপ সরকারের নিরাপত্তা
সামনেই আছে পোল্যান্ড। তারপর সিডনির ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। যেখানে দিল্লিতে বাস্তুতন্ত্র রক্ষার প্রয়াস, পাখিদের প্রতি মানুষের দায়বদ্ধতা তথ্যচিত্রের আকারে জুরিদের বিচারের মুখোমুখি হবে। যেখানে পাখির সঙ্গেই ধরা দেবে, সমাজের ভাবনা, সামাজিক ফাটল-সহ জীবনের কথা। এখন নাদিমরা তাঁদের পাখির ক্লিনিকে আংশিক সময়ের দু'জন কর্মচারী রেখেছেন। রেখেছেন আংশিক সময়ের চিকিত্সকও। সবটাই পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে।
Read full story in English