রহমানের সঙ্গে তাঁর বেসিস্ট মোহিনী দে-কে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কারণ, অনেকেই জানেন। যেদিন রহমান এবং তাঁর স্ত্রী বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন তাঁর ব্যান্ডের বেসিসট মোহিনী তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
যেদিন বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়, সেদিন তাঁর ছেলে আমীন নিজের সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, বাবার এবং মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। শুধু এই সময়টা তারা একটু গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান। কিন্তু যেখানে তাঁর বাবা এত সম্মান অর্জন করেছেন শেষ কিছু বছরে, সেখানে এসব আলোচনা আসছে কেন, এই নিয়েও বেশ অবাক আমীন।
মোহিনী এবং রহমান একইদিনে নিজেদের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই নিয়েই দুইয়ে দুইয়ে চার করেছেন বেশিরভাগ। তাহলে কি তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক চলছে? এই নিয়ে তাঁদের আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছিলেন, এমন কোনও ঘটনাই না। বরং দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্যে কোনও লিংক নেই। রহমান এবং সায়রা দুজনেই নিজেদের কারণেই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন।
এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুলেছেন তাঁর ছেলে। বাবার দিকে তোলা আঙ্গুল তিনি যেন মেনে নিতে পারছেন না। তাই তো তিনি বলছেন, "আমার বাবা একজন কিংবদন্তী। শুধু তাঁর কেরিয়ারে দারুণ কিছু তিনি দিয়েছেন বলে না, বরং তাঁর জীবনের কিছু নীতি আছে। এতবছর ধরে সে অর্জন করেছে এই সম্মান। খুব দুঃখ হচ্ছে এটা দেখে যে, মানুষ এহেন ভুলভাল এবং অযৌক্তিক বিষয়ে কান দিচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে সত্যের পথে সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। কাউকে নিয়ে এহেন কথা বলা আমাদের মানায় না। এহেন গুজব ছড়ানো বন্ধ করুন। তিনি আমাদের অনেকের জীবনে দারুণ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন।"
উল্লেখ্য, বিয়ের ২৯ বছর পর রহমান জানিয়েছিলেন, যে তিনি এবং সায়রা আলাদা হতে চলেছেন। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে যে ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তারপর আর ভালবাসা বজায় রাখা সম্ভব না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।