শেষ কিছুদিন ধরে মোহিনী দে এবং এ আর রহমানকে নিয়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত সমালোচনা। যেদিন রহমান এবং তাঁর স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন, সেদিন তাঁর ব্যাসিস্ট মোহিনী তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই নানা আলোচনা। কেউ কেউ এমন বলেন, যে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত নাকি বিচ্ছেদের কারণ।
এ আর রহমান, যিনি মানুষ হিসেবে সবসময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে, যাকে নিয়ে আজ অবধি কোনও স্ক্যান্ডাল শোনা যায়নি, সেই মানুষ সত্যিই কি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন? উঠছে নানা প্রশ্ন। রহমান এবং তাঁর পরিবারের তরফে বারবার জানা গিয়েছিল যে তিনি এমন কিছু করতেই পারেন না। সারাজীবন অনেক সম্মান অর্জন করেছেন রহমান, ব্যক্তিগত কারণেই আলাদা হয়েছেন।
কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রী সায়রা জানিয়েছিলেন এই সময় মুম্বাইতে আছেন কারণ, তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজনে। রহমান সাহেব যে ধরনের মানুষ, তাঁকে আমি এখনও অত্যন্ত ভালবাসি, এবং সেও আমায় ভালোবাসে। কিন্তু, মোহিনীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রটনা ভুয়ো। আর এবার গিটারিস্ট নিজেও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি যা যা বললেন...
বাঙালি এই কন্যার কথায়, "আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার বড় হওয়ার পেছনে, অনেক মানুষই সহায়তা রয়েছে। তাঁরা আমার জীবনের খুব গুরুত্বপুর্ন ভূমিকায় রয়েছেন। আমার জীবনে সেরকম অনেক বাবার মত মানুষ রয়েছেন। রহমান সাহেব ঠিক তাই। উনি আমার বাবার মতো। উনার মেয়ে আমার বয়সী। তাঁর প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা এবং সম্মান রয়েছে সেটা অকল্পনীয়। আমরা দুজন দুজনকে শ্রদ্ধা করি।"
দীর্ঘ এতবছর কাজ করেছেন মোহিনী। ১১ বছর বয়স থেকে শুরু করেছেন গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করা। বহু গুণী মানুষদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। রহমান ঠিক তাই। তাই তো তিনি বলেন... "আমি রহমানের সঙ্গে আজ প্রায় সাড়ে আট বছর কাজ করছি। তারপর, পাঁচবছর আগে আমি আমেরিকায় চলে আসি। দয়া করে আমাদের প্রতি একটু সদয় হন। এটা একটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। খুব কষ্টদায়ক প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।"
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৯ বছর পর রহমান এবং সায়রা আলাদা হয়েছেন। তাঁর সন্তানরা যদিও বাবা মায়ের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন।