একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কতকিছুই না পোহাতে হয়! সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে সকলেরই থাকে। তাদের মধ্যে একজন থালাইভা রজনীকান্ত ( Rajinikanth )। তার এক ঝলকেই পর্দায় হালচাল বদলে যেতে থাকে। আর তাঁর সিনেমায় কাজ করা মানে নরকীয় পরিস্থিতি? একি মন্তব্য করলেন সুরকার গীতিকার এ আর রহমান ( A.R Rahman )?
Advertisment
আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত রহমান সাহেবের অনুরাগী সংখ্যা দেশে বিদেশে অনেক ছড়িয়ে আছে। এক সাক্ষাত্কারে সিনেমায় কাজ প্রসঙ্গেই মুখ খোলেন তিনি। প্রথমদিকে রজনীকান্তের ছবিতে কাজ করতে গিয়ে নাকি ঝুট ঝামেলা লেগেই থাকত। বলেন, মারাত্মক চাপ থাকত কাজের। এখন যদিও সেটি অনেক সুবিধাজনক হয়েছে। বেশিরভাগ রজনীকান্তের ছবি মুক্তির সময় দিওয়ালির ধারেকাছে। মার্চ থেকেই সিনেমা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে যেত, তারপরে মিউজিকও করতেন, সঙ্গে ব্যকগ্রাউন্ড স্কোর সামলাতেন। আর কারেন্টের ব্যাপক সমস্যা ছিল তখন, দুটো জেনারেটর মজুত ছিল, তারপরেও যেন অসুবিধার শেষ হত না। নরকীয় পরিস্থিতির মধ্যেই কাজ চালিয়ে যেতে হত।
এখানেই শেষ? রহমান বিরক্তির সুরেই বলেন, একসঙ্গে তিনটি ছবিতে কাজ করতেন তিনি। আর সবকটাই দীপাবলির মরশুমে রিলিজ হত। পরিচালকরা বিভৎস ভাবে চাপ দিতেন। শুধু রজনীকান্তের সিনেমার গান নিয়ে মাতামাতি করলেই হবে না, সঙ্গে তাদের দিকেও ধ্যান দেওয়ার কথা বারবার বুঝিয়ে দিতেন। আর মুশকিলে পরতেন রহমান। বলেন, "এই সব উৎসব অনুষ্ঠান এই জন্যই আমার ভাল লাগে না"। দীপাবলি হোক, কিংবা নতুন বছর অথবা পঙ্গল, একটি অনুষ্ঠানেও আনন্দ করতে পারতেন না, তিতিবিরক্ত হয়ে যেতেন। তবে এখন বেশ উপভোগ করেন, অবসরেই সময় কাটান।
প্রসঙ্গত, রহমান কিন্তু নিজেও রজনী ফ্যান! সুযোগ পেলেই থালাইভার প্রশংসায় সরগরম হয়ে ওঠেন। প্রিয় অভিনেতার আসনে বসিয়েছেন তাঁকে। থালাইভার জীবন থেকে বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছেন সেই বিষয়েও জানান তিনি। এখন আর রহমান খুব একটা ব্যস্ততা নিয়ে কাজ করেন না। বলিউড হোক কিংবা দক্ষিণী সিনেমা, খুব ভেবে চিন্তেই নিজেকে সুরের সৃষ্টিতে মিলিয়ে দেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন