অঞ্জন দত্ত: হ্যাঁ! কামব্যাক বলা যেতেই পারে। আমি আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছিলাম। কলকাতায় বসে বো- ব্যারাকস নামের ছবি করা, বাঙালিকে বং বলে ডাকা তায় আবার ইংরেজি নামের ছবি বং কানেকশন বানানো। টেলিভিশনের কিছু ছেলেমেয়েকে নিয়ে ট্রাভেলগ বানানো, এসব নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা আমি করেছি। তবে আমার শহরের ভালো-মন্দ সবটা থেকেই দূরে চলে গিয়েছিলাম। ব্যোমকেশ আমাকে পরিচিতি দিয়েছে অনেক, প্রযোজকরা লাভও করেছেন। এ সবই হচ্ছিল কিন্তু এর মাঝে আসল অঞ্জন দত্ত কোথাও একটা হারিয়ে যাচ্ছিল।
২। এই ছবি কী রঞ্জনা আমি আর আসবো না ছবির সিক্যুয়েল ?
অঞ্জন দত্ত: দর্শক গানের সঙ্গে ছবিকে মেলানোর চেষ্টা করতেই পারেন, তবে এই ছবি সিক্যুয়েল হতে পারে না, হওয়া সম্ভব না। কারণ রঞ্জনা আমি আর আসবো না-তে আমি দেখিয়েছি অবনী মারা গেছে। আসলে এ সিনেমায় সেই বং-কানেকশনের অঞ্জন দত্তের ছবির ফ্লেয়ারসগুলো দর্শকরা খুঁজে পাবেন।
অঞ্জন দত্ত: আক্ষরিক অর্থে মানুষের নিজের সমস্যা থাকলেও, কলকাতা হাজার খারাপ হলেও এটা আমার বাড়ি। আর এর জন্য আজীবন আমি লড়ে যাবো।
আসলে এখন যে সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি সেখানে হাজার ক্রাইসিস, পরিবার আর পরিবারের বাইরের সমস্যা, শহরটাও সন্ত্রাসে ত্রস্ত। কিন্তু সবকিছুর মাঝে এ আমারই জগৎ। এর জন্য আমি সব করতে পারি। এটাই আমার ছবির বিষয়। তবে এ ছবিতে সুন্দর একটা জমাটি ন্যারেটিভে চিত্রনাট্য না বেঁধে কয়েকটা ছোট ছোট গল্পে আগোছালো ভাবে কথা বলেছি।
সবশেষে বলার, এই অঞ্জন দত্তই আমি। এটাই আমার পরিচয়। আমি তরুণ প্রজন্মকে ছবি বানাতে উৎসাহ দিয়েছি। সেখান থেকে আমি সরে গিয়েছিলাম। আমি আসবো ফিরে ছবির মাধ্যমে আমি আমাতেই ফিরে আসছি।