আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খান সম্প্রতি ওয়াইআরএফ ফিল্ম 'মহারাজে'র মাধ্যমে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেছেন। ছবিটি কোনো প্রচার ছাড়াই মুক্তি পেলেও, ছবিটি বের হওয়ার পর নানা আলোচনা হতে থাকে। আমির, যিনি মহারাজ প্রচারের অংশ হননি, এখন বলেছেন যে তিনি জুনায়েদের অভিষেক সম্পর্কে খুব চাপে ছিলেন। এবং তিনি এও যোগ করেছেন যে জুনায়েদ কখনই তার কাছ থেকে "কোনও সাহায্য গ্রহণ করেননি"।
'কুরিয়ে'-এর গান লঞ্চের সময় আমির বলেছিলেন, "যখন জুনায়েদের ছবি মহারাজ মুক্তি পায়, তখন আমি খুব চাপে ছিলাম যে লোকেরা তার কাজ পছন্দ করবে কি না। জুনায়েদ নিজের জন্য সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কোনো উপায়ে আমার কাছ থেকে কোনো সাহায্য গ্রহণ করেনই। তাই আমি খুবই গর্বিত এবং খুশি যে সে তার নিজের শর্তে এতটা এগিয়েছে।"
জুনায়েদ পূর্বে বলেছিলেন যে আমির তার ক্যারিয়ার পছন্দের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। তার বাবা যে এসবে হস্তক্ষেপ করেন না এবং তার মতামত তার সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেন না সেও জানিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ কান্নানের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, জুনায়েদ বলেছিলেন যে তার বাবার কাছে চলচ্চিত্র সম্পর্কিত "সবকিছুর জন্য সেরা সমাধান" রয়েছে। "তিনি কীভাবে আচরণ করে, তার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ব্যর্থতা তাকে প্রভাবিত করে, কিন্তু সে সময় নেয় প্রতিক্রিয়া দিতে। সে বুঝতে পারবে কী ভুল হয়েছে এবং সেখান থেকে এগিয়ে যাবে।"
একই আড্ডায় জুনায়েদ বলেছিলেন যে তার মা রীনা তার ব্যক্তিত্বকে গড়েছেন। তিনি শেয়ার করেছেন, "আমার জীবনে আমার মায়ের একটি বিশাল প্রভাব রয়েছে। তিনিই যিনি আমাকে লালনপালন করেছেন। বাবা খুব স্নেহময়, কিন্তু তিনি জীবনে অনেক ব্যস্ত থাকতেন। তাই, একজন ব্যক্তি যিনি আমাকে গঠন করেছেন তিনি মা। তবে আমি যে কাউকে ফোন করতে পারি। তাঁদের এক মিনিত সময় লাগবে না ফোনটা ধরতে। আমার পরিবার খুব খোলা, সকলের মধ্যে বেশ ভাল সম্পর্ক।"
মহারাজ মুক্তির আগেই জুনায়েদ আরও দুটি হিন্দি ছবিতে কাজ করছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাই পল্লবীর সাথে অভিনয় করেছেন। আরেকটি ছবিতে খুশি কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।