মিস্টার পারফেকশনিস্ট হিসাবেই তাঁকে চেনে তামাম দুনিয়া। জনপ্রিয় বাজার সফল ছবির পাশাপাশি অন্য ধারার ছবিতেও তিনি সমান সফল। তারে জমিন পর, থ্রি ইডিয়টস, ধোবিঘাট, লগন, দঙ্গলের মতো ছবির পাশাপাশি আমির খানের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে মঙ্গল পাণ্ডের মতো ইতিহাস আশ্রিত ছবিতেও৷ তাঁর টেলিভিশন শো 'সত্যমেব জয়তে'র জনপ্রিয়তাও আকাশছোঁয়া। কিন্তু এহেন আমির খান যে একজন বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামীর বংশধর, তা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না। আমির অবশ্য নিজেই একাধিকবার বলেছেন, তাঁর অভিনেতা হওয়ার পিছনে পরোক্ষভাবে অবদান রয়েছে গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর।
পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত উজ্জ্বল একটি নাম মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। সম্পর্কে তিনি আমিরের প্রমাতামহ। ১৮৮৮ সালে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীকালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন৷ স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রীসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী।
‘পেহলা নশা’র সেই চকোলেট বয় আজ চুলে পাক ধরা বাবা!
আমির একাধিকবার জানিয়েছেন, তাঁর জেঠু তথা বিগত দিনের বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার নাসির হুসেন যখন সিনেমার জগতে আসার কথা ভাবছিলেন, তখন পরিবারের অনেকেই তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। সেই সময় নাসিরের পাশে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। নাসিরের হাত ধরেই আমিরের বাবা তাহির হুসেন সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখেন। আমির বলেছিলেন, বাবা সিনেমা জগতের মানুষ না হলে তাঁর কাছে রুপোলী পর্দা অচেনাই থেকে যেত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন