আরবাজ খান ও তাঁর পরিবার তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে, সম্প্রতি ফেসবুকে অভিনব সিনহা কাশ্যপ এমনটাই অভিযোগ করেছেন। ২০১০-এ দাবাং মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তাঁর সমস্ত প্রজেক্ট সাবোট্যাজ করার চেষ্টা করেছন তাঁরা। পরিচালক এও বলেন, সারাক্ষণ এই বিষয়টা দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছিল এবং তাঁর মানসিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছিল।
সোশাল মিডিয়ায় লম্বা একটি পোস্টে অভিনব লেখেন, ''১০ বছর আগে দাবাং টু থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম কারণ আরবাজ খান, সোহেল খান ও তাঁর পরিবারের যোগ সাজশ। তাঁরা আমার কেরিয়ারের কন্ট্রোল নিতে চেয়েছিল, আমাকে বারবার বুলিং করে গিয়েছে। শ্রী অষ্টবিনায়ক ফিল্মসের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় প্রজেক্ট হতে দেয়নি। আমি সই করার পর আরবাজ খান ব্যক্তিগতভাবে সেখানকার প্রধান রাজ মেহতাকে ফোন করেন এবং ভয় দেখান আমাকে নিয়ে কাজ করলে ফল ভুগতে হবে। ফলে আমায় সাইনিং অ্যামাউন্ট ফেরত দিতে হয়েছিল এবং ভায়াকম পিকচারসে যাই। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে।''
আরও পড়ুন, বলিউডের ‘অভিজাত’ না হলে দ্বিগুণ প্রতিভা ও পরিশ্রম প্রয়োজন: দিবাকর
অভিনব আরও বলেন, ''এই সময় সামনে আসেন সোহেল খান এবং ভায়াকমের সিইও বিক্রম মলহোত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। আমার প্রজেক্ট মাঝ পথে আটকে যায় এবং সই করার রাশি সাত কোটি টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হয়। যা ছিল ৯০ লাখ টাকা। তখন আমায় বাঁচাতে এসেছিল রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট এবং বেসরম নিয়ে কাজ করা শুরু করি।''
আরও পড়ুন, সুশান্তের ‘শেষ মুহুর্তের’ ছবি পোস্ট না করার আর্জি মুম্বই পুলিশের
পরিচালক জানিয়েছেন, ''আমার সমস্ত প্রজেক্ট ও ক্রিয়েটিভ কাজের ক্ষতি করতে শুরু করে এবং বারংবার আমার পরিবারের জীবন ও বাড়ির মেয়েদের ধর্ষণের হুমকি আসতে থাকে। নিজের উপর আস্থা হারাতে থাকি ও রাগ হতে থাকে। আর সে কারণেই ২০১৭ সালে পরিবারের থেকে দূরে যেতে থাকি, যা শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগে গিয়ে শেষ হয়।''
অভিনব সিনহা কাশ্যপ তাঁর পোস্টে লেখেন, তিনি হাল ছাড়বেন না।''আমি হার মানব না এবং লড়াই চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত তা হয় ওদের নয় আমাকে ধ্বংস করে দেয়। অনেক সহ্য করেছি। এবার ঘুরে দাঁড়াবার সময়।'' রবিবার অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মঘাতী হওয়ার পরই এই নোট লেখেন অভিনব। পরিচালক সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে সুশান্তের মৃত্যুর পূর্ণ তদন্ত হয়।
এখানেই শেষ নয়, লম্বা সোশাল পোস্টে ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর বিরূদ্ধেও সরব হয়েছে পরিচালক। কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বলিউডের চেনা অথচ অন্ধকার এক দিককে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন