অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের এক বছর। মঙ্গলবারই প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তান। মন্ত্রোচ্চারণে বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর সমস্ত পুজো করলেন ডল। ঘর সাজানো হয়েছিল সাদা ফুলে। আর মেন্যুও এলাহি! যা ফর্দ নিজেই ঠিক করলেন অভিষেক। মৃত্যুবার্ষিকীর দিন কী কী রান্না হবে? স্ত্রী সংযুক্তাকে স্বপ্নাদেশ দিলেন প্রয়াত অভিনেতা।
বাইশের ২৪ মার্চ। অভিশপ্ত দিন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য। চিরতরে ঘুমের দেশে চলে গেলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। গোটা বাড়িতে পড়ে রইল মা-মেয়ে। অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় ও মেয়ে ডল। অভিষেকের অকালপ্রয়াণ আঙুল তুলেছিল ইন্ডাস্ট্রির দিকে। একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন দিনের পর দিন কাজ পাননি? সেই প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছিল টলিপাড়া। তবে সেই ঝড়-ঝাপটা একাই সামলেছেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী সংযুক্তা। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল একটা বছর।
১৪ মার্চ, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতেও শক্ত সংযুক্তা। জানালেন, কাজের ঘরটা সাদা ফুলে একদম স্বর্গের মতো সাজিয়েছেন। অভিষেক এবং তিনি যেহেতু সাঁইবাবার ভক্ত। তাই সেই নিয়মানুযায়ী ৯জন বাচ্চাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে এরপরই চমকে দেওয়ার মতো কথা বললেন সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়! অভিষেক নিজেই নাকি তাঁকে স্বপ্নে ঠিক করে দিয়েছেন মৃত্যুবার্ষিকীর মেন্যু।
কী কী পদ ছিল এদিন? লুচি, আলুরদম থেকে ভাল, ডাল, ঝুড়ি আলুভাজা, দই মাছ আর মাটন কষা। সংযুক্তা বললেন, "কেউ ভাবতেই পারবেন না। ডল যদিও একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল বাবার কথা মনে করে। তবে আমি শক্তই ছিলাম। আসলে প্রতিটা মূহূর্তে ওঁর উপস্থিতি অনুভব করি।"
<আরও পড়়ুন: ‘কুন্তলের সঙ্গে চুক্তিপত্র না করাটা ভুল..’, ED-কাণ্ডে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া>
অভিষেকের মৃত্যুর পরও তাঁর কথামতোই প্রতিটা পদক্ষেপ করেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক বাদেই অষ্টম শ্রেণীতে উঠবে তাঁদের মেয়ে ডল। মায়ের সঙ্গে হাতে হাত রেখে মন শক্ত করে জীবনযুদ্ধ জয় করে চলেছে সে-ও। গত পুজোতেও শহর ছেড়ে মা-মেয়েতে ঘুরে এসেছেন বাইরে থেকে। অভিষেক ছাড়া প্রথমপুজো। তাই তিনি যেভাবে হাসিখুশি থাকতে ভালবাসতেন, সেভাবেই দিন কাটাচ্ছেন সংযুক্তা ও ডল।