দেখতে দেখতে সাত মাস পেরল। অভি নেই। তাঁর স্মৃতি আগলে রেখে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় এবং মেয়ে সায়না। প্রতি মুহূর্তে তাঁর অনুপস্থিতি মিস করেন দুজন। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। স্বামীর প্রয়াণের পর সেই অ্যাকাউন্ট নিজেই সামলান স্ত্রী সংযুক্তা। আর সেখান থেকেই নিজেদের দিনযাপনের যাবতীয় আপডেট দেন। সংযুক্তা যেভাবে অভিষেকের স্মৃতি আঁকড়ে দিন কাটাচ্ছেন, তা দেখেই জনৈক তাঁকে দ্বিতীয়বার বিয়ের প্রস্তাব দেন। শুনেই বেজায় রেগে যান তিনি।
আগের পুজোগুলো কত অন্যরকম হত। মেয়ে-স্বামী নিয়ে হই-হই করে কাটত। কিন্তু অভিষেক চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়ার পর থেকে জীবন বদলেছে। বাড়ির পুজোও বন্ধ। তাই এবার একটু নিরিবিলিতে কাটাতে চেয়েছিলেন সংযুক্তা ও সাইনা। পুজোয় মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন কেরলায়। অভিষেকের ফেসবুক থেকে সেসব ছবিও পোস্ট করেন। সেই পোস্টেই মন্তব্যের ছয়লাপ!
জনৈক নেটিজেন লেখেন, "এইভাবে স্মৃতি আঁকড়ে কত দিন থাকবেন। আপনি আবার বিয়ে করুন। নতুনভাবে নিজের জীবন শুরু করুন।" এমন মন্তব্য নজর এড়ায়নি সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়ের। তিনিও পাল্টা উত্তর দেন। লেখেন, "এমন কথা আর কখনও বলবেন না আপনি। অভি সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।"
<আরও পড়ুন: একাই ১০ জনকে বাঁচালেন মহম্মদ মাণিক! মালবাজারের ‘সুপারহিরো’কে কুর্নিশ সৃজিতের>
তবে তথাকথিত এই শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ মোটেই সুনজরে নেননি সংযুক্তা। তাঁর মন্তব্য, "একা মেয়ে মানুষ দেখলেই নানান মন্তব্যে ভরিয়ে দেন নানা জন। অনেকেই ভাবেন, অভি নেই। আমরা হয়তো অসহায়। কিন্তু আমরা নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিয়েছি। কেউ কেউ তো আমায় অভিনয় করার পরামর্শও দিয়ে ফেলেছেন। একজন নারী একা থাকলে কি তাঁকে দুর্বল ভাবতেই হবে?"
এখানেই অবশ্য থামেননি প্রয়াত অভিনেতা অভিষেকের স্ত্রী। সংযুক্তা এও যোগ করেন যে বাকি জীবনটা স্বামীর স্মৃতি আঁকড়েই কাটিয়ে দেবেন। বলেন, "বিয়ে, ভালবাসা একবারই হয়। আমি শুধুই অভির। আর কারও না। মেয়ে ডল আর অভিষেক ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ গুরুত্বপূর্ণ নয় আমার কাছে।"