১৩ দিনের আউটডোর, ডেবিউটান্ট পরিচালক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনা। সম্পূর্ণ নতুন দুটো মুখ। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘উড়নচণ্ডী’। পরিচিত মুখ বলতে ছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও চিত্রা সেন। এবার আনকোরা পরিচালকই পুরস্কার জিতে নিলেন এই ছবির জন্য। হায়দরাবাদের ‘অল লাইটস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ ডেবিউ পরিচালক হিসাবে পুরস্কৃত হলেন অভিষেক সাহা। নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড এল তাঁর ঝুলিতে। এদিন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী সোশাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিষককে।
‘উড়নচণ্ডী’ নিয়ে আগে অভিষেক সাহা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছিলেন, ''অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল রাস্তার ওপর একটা গল্প বলব। বরাবরই রাস্তা আমায় টানে। কাউকে চিনিনা জানিনা, ভালো-মন্দ মিশিয়ে একটা রোমাঞ্চ থাকে। উড়নচণ্ডীও সেই রাস্তার মানুষগুলোকে নিয়ে তৈরি''।
আরও পড়ুন, মানুষ হিসেবে কেউ ভাল না হলে কাজ করব না: রবি কিনাগি
ছবিতে ছোটু আর বিন্দিয়া পালিয়ে যাচ্ছিল, সঙ্গী একটি লরি। শহরের সুখকে তোয়াক্কা না করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে তারা। রাস্তায় তাদের সঙ্গ নেয় মিনু। বিয়ের পিঁড়ি থেকে পালিয়ে সে যাবে তার প্রেমিকের কাছে। তিনটে মানুষের মধ্যে কেবল মনুষ্যত্বের সম্পর্ক। প্রত্যেকের জীবনের আলাদা আলাদা গল্প আছে। ভিন্ন ভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন তারা। এই সমস্যাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলে তিনটি মানুষ। পথে আরও এক সঙ্গী হন বৃদ্ধা। ফেলে আসা জীবন তাদের কোথায় নিয়ে যায়, নিজের ভাগ্য তারা নিজেরাই গড়ে নেয় কিনা, সেটাই এই ছবির মূল উপজীব্য।
এই ছবি টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে পরিচিত করিয়েছে দুটো নতুন মুখের সঙ্গে- অমর্ত্য রায় ও রাজনন্দিনী। সমালোচকদের প্রশংসা পেলেও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এন আইডিয়াজের প্রযোজনায় এই ছবি বক্সঅফিসে সাফল্য কুড়োতে ব্যর্থই হয়েছিল খানিকটা।