/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/deep-sidhu.jpg)
অবশেষে গ্রেপ্তার প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা তাণ্ডব ঘটনায় অভিযুক্ত পাঞ্জাবী অভিনেতা দীপ সিধু। দিল্লি পুলিশের এক বিশেষ পুলিশি সেলের তরফে মঙ্গলবার সকালেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। গত ২৬ জানুয়ারি ঘটনার পর থেকেই‘ফেরার’ ছিলেন দীপ সিধুকে (Deep Sidhu)। যাঁকে কিনা পাকড়াও করার জন্য দিল্লি পুলিশের তরফে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার পরিবর্তে নিশান সাহিবা উড়িয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পাঞ্জাবী অভিনেতা। স্বাভাবিকভাবেই মাসখানেক ধরে চলা আন্দোলনকে ‘মলিন’ করার অভিযোগে তাঁর উপর গিয়ে রোষ পড়েছে সমুদয় আন্দোলনকারী গোষ্ঠী তথা এই বিক্ষোভ সমর্থককারীদের। যার জেরে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন দীপ। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি হতেই বেপাত্তা ছিলেন। তবে এবার দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করল তাঁকে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে যে, দীপকে গ্রেপ্তার করা গেরুয়া শিবিরের কোনওরকম 'কৌশলী চাল' নয় তো? কারণ, এযাবৎকাল অভিনেতা বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন।
শিখ ফর জাস্টিসের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকেই দীপ সিধু এবং তাঁর ভাই মনদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। উল্লেখ্য, পাঞ্জাবী অভিনেতাকে ধরতে দিল্লি পুলিশ একপ্রকার কোমর বেঁধেই ময়দানে নেমেছিল। ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে দিল্লি এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। এযাবৎকাল ৪৪টি এফআইআর দায়েরের ভিত্তিতে ১২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার অবশেষে দীপ সিধুও পুলিশের জালে।
উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের লালকেল্লা অভিযানে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দীপ সিধুকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন নেটজনতার একাংশ তথা রাজনৈতিকমহল। ওদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, লালকেল্লা অভিযানের পরদিন থেকেই শাহ-মোদীর সঙ্গে দীপের ছবি ভাইরাল হতেই বিজেপি ক্রমশ দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করেছিল দীপের থেকে। উপরন্তু সানি দেওলও টুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, দীপের সঙ্গে তাঁর আর কোনওরকম সম্পর্ক নেই। যদিও বিতর্ক শুরু হতেই একের পর এক ভিডিও শেয়ার করে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দীপ।