Actor drugs case: গতকাল গ্রেফতার করা হয় তামিল অভিনেতা শ্রীকান্ত কে। মাদকের প্রতি আসক্তি এবং অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে, এই অভিনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শ্রীকান্তের রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায়, চূড়ান্তভাবে মাদকে আসক্ত। এর আগেও, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেতা, শাইম টম চাকোকে মাদক সেবনের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন এআইএডিএমকে সদস্য প্রসাদকে গ্রেফতার করার পরই। সেই ব্যক্তিকে, চেন্নাইয়ের একটি পানশালায় মারামারির পর গ্রেফতার করা হয়। প্রসাদ মাদক সেবন করতেন বলেও জানা গেছে এবং তদন্তের সময় শ্রীকান্তের নাম উঠে আসে। দিনের পর দিন যেন একই রকম ঘটনা ঘটেছিল সেখানে। কিন্তু গ্রেফতারের পর, আরো সব ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে সমাজের মাধ্যমে। নাইট ক্লাবে দুটি দলের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক বিতর্কের সময়, প্রসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং পরবর্তীতে তার বাড়িয়ে তল্লাশি জ্বালিয়ে তারা দেখতে পায়, একটি ওই তো ছিলেন এবং দু কোটি টাকা প্রায় এখান থেকে সংগ্রহ করেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশন, গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন, ওয়াটার বোর্ড, আয়কর বিভাগ এবং রেলওয়েতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ২০০ জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রসাদ এবং শ্রীকান্ত, নিজেদের সোর্স এপ্লাই করে অন্যদের হুমকি পর্যন্ত এবং টাকা সংগ্রহ করতেন। আর বন্ধু প্রদীপ, শ্রীকান্ত এবং ঘানার আরেক পরিচিতের মাধ্যমে, কোকেন সংগ্রহ করতেন, তাঁর সঙ্গে বন্ধুদের কাছে বিক্রিও করতেন।
Actor Arrested due to drugs case: হুলুস্থুলু কাণ্ড! মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার জনপ্রিয় অভিনেতা..
শুধু শ্রীকান্ত একা নয় বরং, তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেতা কৃষ্ণর নামও উঠে এসেছে এই ক্ষেত্রে। শ্রীকান্ত গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তিনি পলাতক বলে জানা গেছে। তদন্তকারীদের অভিযোগ, শ্রীকান্ত এবং কৃষ্ণ দুজনেই চেন্নাইয়ের কয়েকটি পার্টিতে কখন সেবন করেছিলেন। প্রসাদ এবং তার অন্যান্য বন্ধুদের স্বীকারোক্তিতে, নানা অজানা তথ্য সামনে আসছে। কৃষ্ণর মোবাইল রয়েছে বন্ধ। এবং তাকে সন্ধান করতে আজ সদস্যের একটি বিশেষ দল মোতায়ন করা হয়েছে।
চেন্নাই পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিক্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এএনআইইউ) শ্রীকান্তকে গ্রেপ্তার করার পরে এই মামলাটি প্রকাশ্যে আসে। ডাক্তারি পরীক্ষায় তার মাদক সেবনের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই জানা যায়, ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে ৪.৭২ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ দিয়ে প্রায় ৪০ বার কোকেন কিনেছিলেন তিনি।