দীর্ঘদিন তিনি দূরে ছিলেন অভিনয় জগৎ থেকে। তবে, আবারও ফিরেছেন। অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কাজ তারপর আবারও কাজ করলেন তারকার মৃত্যু ছবিতে। সেই সিনেমায় তাঁকে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। তিনি শত্রু সিনেমা থেকেই পুলিশ হিসেবে বাংলার মনে বিপুল জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মার যারা খেয়েছেন...
Advertisment
রঞ্জিত মল্লিক নাকি অভিনয় করার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবেই মেরে দেন? একথা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন টলিপাড়ার এক অন্যতম অভিনেতা। এমনকি তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, রঞ্জিত মল্লিকের মার! যখন তখন যা খুশি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এঘটনা কী সত্যিই? আর কেই বা বলেছিলেন একথা। ঘটনার উত্থাপন হয় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এর হাত ধরে। অভিনেতার অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন সেই অভিনেতা।
তিনি আর কেউ না, বরং দীপঙ্কর দে। রঞ্জিত মল্লিক ছবির হিরো, এদিকে খলনায়কের ভূমিকায় দীপঙ্কর। যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তার পর নাক কান মুলেছেন তিনি। রঞ্জিত মল্লিকের বিপরীতে আর কোনওদিন খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবেন না। বললেন, "রঞ্জিত মল্লিকের মার, কেওড়াতলা পার। আমি উনার সঙ্গে ভিলেনের ভূমিকায় আর নেই। কখন যে কী হয়ে যাবে?" একথা বলেই হেসে ফেলেন তিনি।
যদিও, রঞ্জু বাবুর হয়ে গলা চড়ালেন শাশ্বত নিজেই। তাঁর দাবি অনুযায়ী রঞ্জিত মল্লিক শট দেওয়ার আগে অনেক ভাবনা চিন্তা করেন। সবথেকে বড় কথা উনি, নিজেও কিছু শিডিউল মেনে চলেন। কিন্তু দীপঙ্কর পরবর্তীতে বলেন, আমি জানি যেটা উনি শুরুতে নিজে থেকেই সামনের আর্টিষ্টকে বলেন বেশি এগোবেন না। লেগে যাবে কিন্তু। যেই মনিটরিং হবে, উনি নিজেই চার পা এগিয়ে এসে মেরে দেবে।
রঞ্জিত মল্লিক যদিও একথা শুনে, হেসে কুল কিনারা পাননি। এমনিও তাঁকে বেল্ট ম্যান হিসেবে অভিহিত করা হয়। চাবকে পিঠের ছাল তুলে নেব... এই ডায়লগ মানুষের মুখে মুখে। বয়স বাড়লেও রঞ্জিত বাবু কিন্তু আগের মতোই রসিক মানুষ রয়েছেন। সামনেই বাড়িতে পুজো, চূড়ান্ত ব্যস্ততা এখন তার।