/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/08/actor-2025-10-08-21-41-06.jpg)
ভয়ঙ্কর কাণ্ড...
২০২২ সালের বলিউড ছবি ‘ঝুন্ড’-এ ‘বাবু ছেত্রী’ চরিত্রে অভিনয় করা প্রিয়াংশু ক্ষত্রিয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে শোকের ছায়া নেমেছে সিনে-মহলে। বুধবার ভোরে নাগপুরের জরিপাটকা এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত্রিয়ের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে এবং তাঁর মুখ বিকৃত করা হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করেছে এবং নিহতের বন্ধু ধ্রুব সাহুকে আটক করেছে, যাকে মঙ্গলবার রাতে শেষবার প্রিয়াংশুর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। জরিপাটকা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অরুণ ক্ষীরসাগর জানান, “এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে ধ্রুব সাহুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে দু’জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, রাত দু’টার দিকে নারা এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে তাঁরা ছুটে যান এবং গুরুতর জখম অবস্থায় ক্ষত্রিয়কে হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ক্রাইম ডিটেকশন ব্রাঞ্চ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যেই সাহুকে আটক করে। পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, ধ্রুব সাহুর বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, প্রিয়াংশুরও ছোটখাটো অপরাধের রেকর্ড ছিল। ২০২২ সালে ৫ লক্ষ টাকার গয়না ও নগদ চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সাহুর সঙ্গে আর্থিক বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি, যার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
নাগরাজ মঞ্জুলে পরিচালিত ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ঝুন্ড’ ছবিটি বিজয় বার্সের বাস্তব জীবনের অনুপ্রেরণায় নির্মিত। নাগপুরের বস্তির বাচ্চাদের ফুটবল দলের মাধ্যমে নতুন জীবন দেওয়ার গল্পকে ঘিরেই তৈরি হয় ছবিটি। সেই ছবিতেই প্রিয়াংশু ক্ষত্রিয় ‘বাবু ছেত্রী’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।
নাগপুরের রেললাইনের ধারে বেড়ে ওঠা প্রিয়াংশুর পরিবারে বাবা একজন দিনমজুর এবং তিন বোন রয়েছে। জীবনের নানা সংগ্রাম, দারিদ্র্য ও আসক্তি তাঁকে একসময় অপরাধের পথে টেনে নিয়েছিল, তবে ‘ঝুন্ড’-এর মাধ্যমে তিনি নতুন জীবনের আশা দেখেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই জীবনই এভাবে অকালেই শেষ হল।