বলিউডে তাঁর বয়স বেশি নয়। মূলত দক্ষিণী ছবির মাধ্যমেই তাঁর জনপ্রিয়তা। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পসার জমাতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু অতিমারীর এই চরম পরিস্থিতিতে মানবিকতার নজির গড়লেন হর্ষবর্ধন রানে (Harshvardhan Rane)। নামটা হিন্দি সিনেদর্শকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয় বটে! তবে এই দুঃসময়ে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য রানে যেভাবে এগিয়ে এলেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
নিজের শখের বাইক বিক্রি করে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর (Oxygen Concentrator) কিনে মুমূর্ষ কোভিড (Covid-19) রোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন হর্ষবর্ধন। অতিমারীর দ্বিতীয় পর্বে দেশের একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব। চারিদিকে শুধু হাহাকার। হাসপাতালে শয্যা নেই। প্রাণভরে শ্বাস নিতে চাওয়ার আর্তি। কিন্তু কারও বা অতি চড়া দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার সামর্থ নেই, আবার কারো পকেটে টাকা থাকলেও উপায় নেই। কারণ বাজারে অক্সিজেনের অভাব। যার জেরে এযাবৎকাল বহু কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এমতাবস্থাতেই এগিয়ে এলেন হিরো হর্ষবর্ধন। সিনেপর্দার পাশাপাশি তিনি যে বাস্তবজীবনেও প্রকৃতপক্ষে হিরো, তার উদাহরণ দিলেন।
সাধের হলুদ রয়্যাল এনফিল্ড বাইকটি রানের প্রাণপ্রিয় ছিল। কিন্তু এই চরম পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে তা বেচে দিতেও কার্পণ্য করলেন না অভিনেতা। সেই টাকায় তিনি এখন 'অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর' কিনে বিলোচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ৩টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর হায়দরাবাদে পাঠিয়েছেন অভিনেতা। আরও কিছু কনসেন্ট্রেটর কিনতে পারবেন বলে আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, হর্ষবর্ধন মূলত দক্ষিণী ছবির চেনা মুখ। ২০১৬ সালে ‘সনম তেরি কসম’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তার পরে যদিও বলিউডে পসার জমাতে পারেননি। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল জি ফাইভের একটি ওয়েব সিরিজে।