Actor Neil Chatterjee film debut Panther: বিগত চার-পাঁচ বছরে বাংলা টেলিপর্দায় নতুন প্রজন্মের যে চরিত্রাভিনেতারা দর্শকের মনে ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছেন, তাঁদের অন্যতম নীল চট্টোপাধ্যায়। 'বকুলকথা' ও 'ভানুমতীর খেল'-এ ভিলেনের চরিত্রে নজর কেড়েছে তাঁর অভিনয়। জিৎ প্রযোজিত ও অভিনীত ছবি 'প্যান্থার'-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় তাঁর প্রথম কাজ সেই তারকার সঙ্গে, এক সময় যাঁর ফ্যান ছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে নীল জানালেন, সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি জানালেন তাঁর পেশাগত জীবনে পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের অবদানের কথাও।
''টেলিভিশনেও কিন্তু জিৎদার হাউসে আমি কাজ করেছি, কালারস বাংলা-র 'মীরা'-তে। আবার বড়পর্দাতেও প্রথম কাজ করলাম জিৎদার সঙ্গে'', নীল বলে চলেন, ''এর জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ 'প্যান্থার'-এর ডিরেক্টর ও সহ-চিত্রনাট্যকার অংশুমানদার কাছে। 'মীরা'-র রাইটার ছিলেন অংশুমানদা, আবার আমাকে ভিলেনের চরিত্রে প্রথম কাস্টিং করেন অংশুমানদা, 'ঝুমুর'-এ। তার পরে টেলিভিশনে অনেক নেগেটিভ চরিত্র করেছি। টেলিজগতে নেগেটিভ চরিত্রের অভিনেতা বলে আমার যতটুকু পরিচয় হয়েছে, তার পিছনে কিন্তু অংশুমানদার অবদান রয়েছে। প্যান্থারের চরিত্রটাও নেগেটিভ কিন্তু পুরোপুরি ভিলেন বলা যায় না। বলা ভাল ভিলেনের গ্যাংয়ের অংশ যাকে আবার একটা সময় বাঁচাতে আসবে নায়ক মানে জিৎদা।''
আরও পড়ুন: বাইরে যত রোয়াব নিয়ে চলি, বাড়িতে ভিজে বেড়াল: বকুলকথা-নায়িকা ঊষসী
একদিকে জিৎ ও অন্যদিকে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-- দুই তারকা-অভিনেতার সঙ্গে কাজ। প্রথমদিন শুটের আগের রাতে ঘুমোতেই পারেননি নীল। কারণ প্রথম শটটাই ছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নীল জানালেন, সব ভয় কেটে গিয়েছিল যখন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় নিজেই তাঁকে সাহস জোগান। একই রকম ভাবে ভয় কেটে যায় তাঁর সুপারস্টার আইডল 'জিৎদা'র সঙ্গে কাজের সময়। কারণ তারকা নিজেই সহজ করে দিয়েছিলেন কাজটা।
''জিৎদার সঙ্গে এর আগে দেখা হয়েছে। খুব মিষ্টি করে কথা বলেন, ভীষণ ভাল মানুষ। কিন্তু জিৎদা যে ফ্লোরে এত মজা করতে পারেন সেটা জানতাম না'', জানালেন নীল, ''নিজে প্রযোজক কিন্তু কখনও তাড়া দেন না। সবাইকে বলেন যে রিল্যাক্স করে কাজ করো, এনজয় করে কাজ করো। প্রত্যেকটা মানুষকে এত গুরুত্ব দেন এবং খুব সাহায্য করেন নিউকামারদের। একটা সিনে আমি, অপুদা ও জিৎদা তিনজনেই আছি। আমি শুনেছি এডিটের সময় জিৎদা নিজে থেকেই বলেছিলেন, মেরা রিঅ্যাকশন কম কর দে, উন দোনো কা হোনা চাহিয়ে। আর জিৎদার কাছে যেটা শিখলাম সেটা হল সুইচ অন-সুইচ অফ করার ক্ষমতা আর অসম্ভব টেকনিকাল নলেজ।''
আরও পড়ুন: আক্রান্ত টিম ‘কে আপন কে পর’, সাইবার সেলের দ্বারস্থ তারকারা
'প্যান্থার'-এর এই অভিজ্ঞতা নীল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে স্বপ্ন সফল হওয়ার মতোই। এর জন্য পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা তাঁর। জানালেন এই প্রজেক্টে প্রতি মুহূর্তে কীভাবে তাঁকে গাইড করেছেন পরিচালক। ''অংশুমানদা মাথার উপর না থাকলে পারতাম না। আমি সত্যি ভাবিনি কোনওদিন জিৎদার সঙ্গে একই ফ্রেমে থাকব। অংশুমানদা ছিলেন বলেই আমার নিজের উপর বিশ্বাস এসেছে যে আমি পারব। প্রচুর সাপোর্ট করেছেন আমাকে। বার বার বলেছেন, ভয় পাচ্ছিস কেন, আমি তো আছি এখানে। আমার স্বপ্ন সফল করার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা জিৎদাকে আর অংশুমানদাকে।''