মিস্টার নটোবরলাল ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের, ছোটবেলার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেতা। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন রেখা, অজিত, কাদের খান এবং আমজাদ খান। ১৯৭৯ সালের সেই ছবির মাস্টার লাড্ডুকে মনে আছে? সেই ছবি ছাড়াও অনেক ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। কিন্তু তার জীবনযাত্রা বেশি বছরের ছিল না।
আসল নাম ইন্দ্রজিৎ সিং। তাঁর আইকনিক ছবিতেও উপস্থিতি ছিল দেখার মত। অল্প বয়সেই, না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে মর্মান্তিক হত্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। মুম্বাইয়ের আন্ধিরীতেই তাকে তিনজন মিলে খুন করে। আইএমডিবি ট্রিবিয়ার তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুর পেছনে রয়েছে এক অন্য কারণ। পারিবারিক কারণেই তিনি যে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন সেকথাই সাফ জানা যায়। খবর পাওয়া যায় এমনি, দীর্ঘ ১০ মাস তিনি বাড়ি ভাড়া দেননি। তার বাবাকে ফ্ল্যাট খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটি করতে রাজি হননি কারণ তখনও লিজের কয়েক মাস বাকি ছিল।
এর পরবর্তীতেই নাকি সেই বিশ্রী দিন ঘনিয়ে আসে। বাড়িওয়ালা সেদিন কোনওকথা শোনেননি। বরং, ১৮ বছরের সেই ছেলেটিকে সেদিন খুন হতে হয়। নেপথ্যে ছিল কেবল একটি বাড়ি। এবং তাঁর এই মৃত্যুর পেছনে, অভিযুক্ত করা হয়েছিল আহমেদ বাবাজান শেখকে। শুধু যে তিনি অভিনেতা ছিলেন এমনটা নয়। বরং, তিনি ছিলেন জনপ্রিয় প্রযোজক ভগবন্ত এস আনন্দের ছেলে। সেই সূত্রেও তাঁর ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। ১৯৭৯ সালে মিস্টার নটবোরলাল ছাড়াও নানা ছবিতে তিনি কাজ করেছিলেন। এছাড়াও...
/indian-express-bangla/media/post_attachments/c37d4588-cee.jpg)
মৃত্যুর আগেও দুটো ছবিটা তিনি কাজ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালের রিলিজ করে চুনৌতি, এবং তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৯০ সালে থানেদার রিলিজ করে। অনেক হিট ছবিতে কাজ করলেও বেশিদিন তিনি স্থায়ী হননি এই ইন্ডাস্ট্রিতে। ড্রিম গার্ল ছবিতে তিনি ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এছাড়াও আরও সুযোগ থাকলেও তিনি কিন্তু, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না।