মা ছিলেন দৌর্দণ্ডপ্রতাপ মহিলা। বহুকষ্টে মেয়েকে মানুষ করেছেন। বাবা আদরে রাখলেও মা বেজায় কড়া শাসনে রাখতেন অপরাজিতা আঢ্যকে। গর্ভধারিণী মায়ের কাছ থেকে অনেক শিখেছেন। এবং তাঁর শিক্ষাকে পাথেয় করেই জীবনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার সেই মা-কেই চিরতরে হারিয়ে ফেললেন অপরাজিতা।
Advertisment
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মৃত্যু হয় অপরাজিত্য আঢ্যর মায়ের। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রীর মা। তবে শেষ রক্ষা আর হল না। এদিন সকালে চিরতরে বিদায় নিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জন্মদিন ছিল অপরাজিতা আঢ্যর। তখনও বোধহয় অভিনেত্রী বুঝতে পারেননি যে, আর কয়েকটা দিনের মধ্যেই প্রিয় মানুষ, নিজের গর্ভধারিণীকেই হারিয়ে ফেলবেন তিনি। মায়ের অসুস্থতার জন্যই এবার জন্মদিনটা বাইরে পালন না করেননি অপরাজিতা। সোমবার মাকে হারানোর শোকবার্তা দিলেন তিনি।
মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে অপরাজিতা আঢ্য লেখেন, "মা আজ সকাল ৯.৩০ নাগাদ চলে গেলেন। অখণ্ড শাসন দন্ড ত্রস্ত হল তার। মায়ের আত্মার শান্তি হোক। যারা পরিচিত সবার নম্বর আমার কাছে নেই। তাঁদের সকলকে এই পোস্টটির মাধ্যমে জানালাম।"
প্রসঙ্গত, দিদা ছিলেন মাস্টারদার ছাত্রী। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা যিনি ম্যাট্রিকে প্রথম হন। সূর্য সেনের হাত ধরে যুক্ত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামেও। সেই সময়ে এরকম মহিলা খুঁজে পেলে ইংরেজরা গুলি করে মেরে ফেলত। তাই দিদার বাবা তাকে ডেকে নেন কলকাতায়। দাদুর সঙ্গে বিয়ে দেন। তবে দিদাকে মারধর করতেন বলে কোনওদিন দাদুর নাম জানার প্রয়োজন বোধ করেননি অপরাজিতা। দিদা বহুকষ্টে অপরাজিতার মা ও মাসিকে বড় করেন। তাই শৈশব থেকেই কড়া শাসনে ছিলেন অভিনেত্রী। মাকে হারিয়ে শোকাতুর অপরাজিতা।