রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নায়িকা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঠিকানা বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘর। বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া-তামিল ইন্ডাস্ট্রিতেও যিনি কাজ করেছেন, তাঁর ঠাঁই এখন জেলে! আর সেই অভিনেত্রীই বর্তমানে জেলে বসে কপাল চাপড়াচ্ছেন। অর্পিতার মন্তব্য, "বীভৎসভাবে ফেঁসে গেলাম..।"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ৫ দিন হল। জেলে কাটাচ্ছেন একসময়কার বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া, তামিল ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা। অতিরিক্ত সুবিধা, বিলাসবহুল জীবন এখন অতীত! সাধারণ কয়েদিদের মতোই দিন কাটাতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে। রবিবার সামান্য জ্বর এসেছিল বটে, তবে সোমবার অনেকটাই সুস্থ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু দুশ্চিন্তা যেন কিছুতেই কাটছে না নায়িকার।
সোমবার সন্ধেবেলা আইনজীবীকে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন টলিউড নায়িকা। যিনি কিনা একসময়ে জিৎ-স্বস্তিকা, সোহম, প্রসেনজিৎদের সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। নিজের এমন পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অর্পিতা। কাঁদতে কাঁদতেই বলছেন, "আমাকে শেষ করে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ফেঁসে গেলাম বিভৎসভাবে।"
<আরও পড়ুন: ‘চশমা পরেও কিছু দেখতে পারলাম না’, রণবীরের নগ্ন-শুট নিয়ে বিস্ফোরক টুইঙ্কল>
শুধু তাই নয়, জেলে বসে মাকেও মিস করছেন অর্পিতা। বারবার মায়ের কথা জানতে চাইছেন। কে মা মিনতিদেবীর ওষুধ এনে দিচ্ছেন? কান্নার মাঝেই জিজ্ঞেস করেন জেলবন্দি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এদিকে জেলের খাবার মুখে তুলতে পারছেন না পার্থ ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী। তাই গতকাল চিকেন স্যুপের আবদার রেখেছিলেন। তবে কার বিরুদ্ধে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী? সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্থ-অর্পিতার অসমবয়সি এই ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ নিয়ে এর আগে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রীর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। বলেন, “বন্ধুত্ব রয়েছে কিনা জানতাম না। একটা অত বয়স্ক লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে কিনা, এই প্রশ্ন কখনও আমার মনে জাগেনি।” এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে তাঁর কোনওদিন কোনওরকম কথা হয়নি, সেকথাও জানান তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন