Buddhadeb Bhattacharya-Manasi Sinha: বুদ্ধবাবুকে নিয়ে লিখেছিলেন 'নক্ষত্র যাপন', তাঁর কয়েকঘন্টার মধ্যেই প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
Buddhadeb Bhattacharya demise: রাজনীতির পাশাপাশি, সংস্কৃতির প্রতি তাঁর মনোযোগ ছিল সাংঘাতিক। মাঝেমধ্যেই নন্দন চত্বরে দেখা যেত তাকে। বই পড়তে ভীষণ ভালবাসতেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা ছিল অগাধ।
Buddhadeb Bhattacharya demise: রাজনীতির পাশাপাশি, সংস্কৃতির প্রতি তাঁর মনোযোগ ছিল সাংঘাতিক। মাঝেমধ্যেই নন্দন চত্বরে দেখা যেত তাকে। বই পড়তে ভীষণ ভালবাসতেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা ছিল অগাধ।
বুদ্ধবাবুর মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগেই কী লিখেছিলেন মানসী?
সকাল থেকেই আজ মন ভালো নেই বাংলার অনেক মানুষের। কারণ বোধহয় একজন রাজনীতিবিদ কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চির বিদায় নয়। বরং একজন সৎ মানুষের। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ বাংলা তথা বিনোদন মহল।
Advertisment
রাজনীতির পাশাপাশি, সংস্কৃতির প্রতি তাঁর মনোযোগ ছিল সাংঘাতিক। মাঝেমধ্যেই নন্দন চত্বরে দেখা যেত তাকে। বই পড়তে ভীষণ ভালবাসতেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা ছিল অগাধ। তার প্রয়াণে শোকে আচ্ছন্ন, টলিপাড়ার অনেকেই। কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, অভিনেত্রী পরিচালক এবং বাম সমর্থক মানসী সিনহা, গতকালই তাকে নিয়ে একটি বইয়ের ঘোষণা করেছিলেন।
বইটির নাম নক্ষত্র যাপন। মানসী সিনহা বরাবর বাম মনস্কা। অভিনেত্রীকে ভাষণ দিতেও দেখা যায় বাম হয়ে। কিন্তু, গতকালের নক্ষত্র যাপন বইটির পরবর্তী অধ্যায়ে যে বুদ্ধবাবুই না ফেরার দেশে পাড়ি দেবেন, সে কথা কেউ ভাবতেও পারেননি। অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন...
"জীবনে যার সঙ্গে একটা কথাও হয়নি কোনদিন, অথচ গোটা জীবনটাই যার প্রভাবে প্রভাবিত। এই দু মলাটের মধ্যে তার সঙ্গেই বলা অনেকগুলো কথা, মনে মনে। ঘরে বাইরে পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রিয় মানুষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে নিয়ে আমার প্রথম বই।"
আর আজ সূর্যোদয় হতেই বঙ্গ রাজনীতির এক নক্ষত্র নিভে গেলেন। অভিনেত্রীর এই বইকে নিয়ে, অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তারমধ্যে অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জি থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই ছিলেন। কিন্তু আজ সকাল হতেই সেই মন্তব্য বিভাগে দেখা গেল শোক। কেউ বললেন আমরা আজই ওনাকে হারালাম। কেউ বললেন বইটির প্রাসঙ্গিকতা অনেক বেড়ে গেল। আবার কেউ বললেন সমাপতন আজ চলে গেলেন।
যদিও বা এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মানসী সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তারপরেও ভক্তরা দাবি করেছেন, বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে যেন এই বইটির প্রকাশনা বন্ধ না হয়ে যায়। উল্টে দ্বিতীয় ভাগও যেন তৈরি করেন পরিচালক সেই কথাও তাঁরা জানিয়ে দেন।