কথায় বলে সারাদিনে একবার দুবার বাবা মায়ের কাছে বকাঝকা আর পিটুনি না খেলে নাকি ছোটবেলা সম্পূর্ণ হয় না। সে তারকা মহল হোক কিংবা ক্রীড়াবিদ প্রত্যেকের শৈশবের অজানা গল্পে মা বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যেমন আছে তেমনই আছে তাদের শাসনের অভিব্যাক্তি। অভিনেত্রী কাজল সেইক্ষেত্রে একেবারেই বিচিত্র নন।
Advertisment
সবসময় মা তনুজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। কিন্তু শৈশবের স্মৃতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর নিজের অকপট স্বীকারোক্তি একেবারেই অবাক করার মত।একরকম হেসেই কাজল জানান, ছোটবেলা খুব উচ্ছাস আর আরামে কাটেনি তাঁর। মা ভীষণ নিয়ন্ত্রিত ভাবেই রাখতেন। কোনরকম আশকারা তাকে দেওয়া হয় নি। এমনকি এতই দুষ্টু ছিলেন মা ব্যাডমিন্টন র্যাকেট দিয়ে মেরেছিলেন তাঁকে। মাঝে মধ্যে বাসন পত্রও উড়ে আসত তার দিকে।
এপ্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছু স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত অনেক মার খেয়েছেন তিনি। তারপরে আর কোনোদিন মা হাত তোলেননি গায়ে। তনুজা নাকি বলেও ছিলেন ভবিষ্যতে আর কোনোদিন মেয়েকে মারবেন না যদি না কোনও ভুল সে করে। বোর্ডিং স্কুলে যাওয়ার আনন্দ থেকে সেখান হইতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছোটবেলা বেশ অ্যাডভেঞ্চারে কেটেছে তাঁর।
সবসময় মায়ের সঙ্গে কাজল এবং তানিশা দুজনেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বাবা এবং মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকেই সেই সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। খুব অল্প বয়সে অনেক কিছু দেখেছেন তিনি, তার সঙ্গে সিনে-কেরিয়ার আরও নতুন ভাবে নিজেকে গড়তে শিখিয়েছিল। বাবা নাম রাখতে চেয়েছিলেন মার্সিডিজ কিন্তু তিনি যথেষ্ট খুশি যে আদতে এই নাম শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে জড়ায়নি। ফ্যানদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই শেয়ার করেন নানান মুহূর্ত। সেই ৯৮ সাল থেকে আজও তার ক্রেজ একটুও কমেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন