গঙ্গায় ভাসমান মৃতদেহের ভাইরাল ছবি এদেশেরই নয়। এমন আজব দাবি করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনার দাবি, ‘সেই ছবি নাইজেরিয়ার। দেশের বদনাম করতে এসব ভুয়ো ছবি নেটে ছড়ানো হয়েছে। ভারতে এমন ঘটনাই ঘটেনি।‘
Advertisment
ইতিমধ্যে, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসমান মৃতদেহের ছবি ছেয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ উঠছে, কোভিড রোগীদের মৃতদেহ পোড়ানোর জায়গা নেই বলে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই মৃতদেহের মধ্যে কিছু অর্ধদগ্ধ দেহ আছে। চিতার কাঠের অভাবে সেই দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে গঙ্গায় বেশ কিছু মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখা যায়। পচাগলা দেহ জমা হচ্ছে নদীর পাড়ে। স্থানীয়রা বলেছেন, সেগুলি কোভিড রোগীদের দেহ। শ্মশানে পোড়ানোর জায়গা না পেয়ে নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। এ ছাড়াও বারাণসীর গঙ্গা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, দেশের বহু জায়গায় কোভিড-দেহ সৎকারের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও আবার জায়গা পেলেও মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত লোক নেই। ফলে রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় গঙ্গার পাড়েই কিছুটা গর্ত করে দেহ পুঁতে দেওয়া হচ্ছে
কিন্তু সেই সব দাবি-অভিযোগ ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন বলিউডের কুইন। দেখুন তাঁর সেই ভিডিও:
যদিও সে সব ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগছে না। ছবি ছড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গে কঙ্গনা রানাউতের বক্তব্য, ‘কয়েক দিন আগে এক বৃদ্ধার ছবি ঘুরছিল নেট দুনিয়ায়। দেখা গিয়েছিল, তিনি অক্সিজেন মাস্ক পরে রাস্তায় বসে রয়েছেন। সারা পৃথিবীতে সে ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে জানা যায়, সে ছবি অনেক আগের। অতিমারির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’
তেমন ভাবেই শব-ভেসে আসার ছবি নিয়ে তাঁর দাবি, সে সব নাইজেরিয়ার ছবি। এই দেশের বদনাম করার জন্য এ সব করা হচ্ছে। তাই অভিনেত্রীর পরামর্শ, ‘ধর্ম দিয়ে বিভেদ করবেন না। মানবিকতাই এখন মানুষের একমাত্র ধর্ম হওয়া উচিত। একজোট হয়ে থাকা উচিত সবার।’’