/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/lead-15.jpg)
লাবণী ভট্টাচার্য ও পল্লবী শর্মা 'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকে। ছবি: হটস্টার থেকে
Laboni Bhattacharya enters Ke Apon Ke Por: স্টার জলসা-র ধারাবাহিক 'কে আপন কে পর'-এ এল গল্পের নতুন মোড়, ফিরল ছোটবেলায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া মিট্টি। আর ওই চরিত্রে এলেন লাবণী ভট্টাচার্য। কিন্তু ৬ নভেম্বরের এপিসোডটি দেখার পরে কৌতূহল জাগে, এই আগমন শুভ হবে কি না। কারণ চরিত্রের পরিচয়পর্বেই আবহে বাজল বিপদের সুর। সম্ভবত নতুন খল-চরিত্র হয়েই চরিত্রটি পা রাখল জবা-পরমের সংসারে।
এই চরিত্রের শিশুবয়স দেখেছেন দর্শক, যখন তার পায়ের একটি সমস্যা ছিল। সেই সময় জবা-পরম ও পরিবারের সবারই প্রিয়পাত্রী ছিল সে। কিন্তু বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি মিট্টির। এত বছর পরে মিট্টিকে প্রথমে চিনতে পারে না পরিবারের সবাই। তবে শুধু জবা-পরম নয়, মা ময়ূরীর সঙ্গেও বহুদিন পরে দেখা হয় মিট্টির। কারণ এর আগে ধারাবাহিকের গল্পে এমনটা বলা হয়েছিল যে মিট্টি দেশের বাইরে রয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/5.jpg)
আরও পড়ুন: রাতে উঠতে হলে মাকে ডাকি, একা ঘুমোতে পারি না: দিব্যজ্যোতি
অভিনেত্রী লাবণী ভট্টাচার্য এই চরিত্রটি নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহিত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে তিনি জানান, ''জবা-পরমের সংসারে যে মিট্টি ফিরল, তার পরে কী হবে, সেটাই এবার দেখবেন দর্শক। দর্শকের মনে নানা রকম প্রশ্ন উঠছে-- মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কটা আবার ভালো হবে নাকি নতুন করে কোনও টানাপোড়েন হবে। আবার মিট্টির বাবা একটা সময় ভালো হলেও পরে খুব খারাপ কিছু কাজে জড়িয়ে পড়ে। কিডনি পাচার করার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে সে সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গেছে। মিট্টির ফিরে আসার পরে, ওই চরিত্রটিও আবার ফিরবে কি না এই বাড়িতে, এই সব প্রশ্নই হয়তো উঠবে দর্শকের মনে। ঠিক কী ঘটবে সেটা তো এখন বলা যাবে না কিন্তু নতুন একটা ক্রাইসিস তৈরি হতে চলেছে।''
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/inside1-5.jpg)
'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দীর্ঘতম ডেইলি সোপ। টানা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে টিআরপি সেরা দশ তালিকায় রয়েছে এই ধারাবাহিক। মুখ্য চরিত্রের প্রতি দর্শকের ভালোবাসা যেমন একটা কারণ, তেমনই টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন, নতুন নতুন ক্রাইসিস তৈরি করাতে এই গল্পের জুড়ি মেলা ভার। দর্শক যেমন একদিকে এই ধারাবাহিক নিয়ে উচ্ছ্বসিত, তেমনই আবার সোশাল মিডিয়ায় এই ধারাবাহিক নিয়ে ট্রোলও কম হয়নি। বিশেষ করে অক্সিজেন মাস্ক ঝুলিয়ে কোর্টে সওয়াল-জবাবের এপিসোডটি।
আরও পড়ুন: শ্রীরামকৃষ্ণের আগমনে আরও বাড়ছে রেটিং, দ্বিতীয় ‘রাসমণি’
কিন্তু তার পরেও জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং বেড়েছে বলা যায়। বাড়ির কাজের মেয়ে জবা, এই দিয়ে ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছিল। তিন বছরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে জবা এখন হাইকোর্টের বিচারপতি! সম্ভবত এই কারণেই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকের টানটা প্রবল কারণ প্রোটাগনিস্ট এখানে একটি সামাজিক শ্রেণি থেকে আর একটি সামাজিক শ্রেণিতে পৌঁছে যায়, যা আদতে বেশিরভাগ মানুষেরই স্বপ্ন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/inside2-2.jpg)
বিচারপতি জবার বাড়িতেই এবার গোপনে অপরাধ বাসা বাঁধবে কি না, সেটাই কৌতূহলের বিষয়। কারণ এর আগের এপিসোডে দেখা গিয়েছে যে ফেরারী আসামী, মিট্টির বাবা বলে, তার মেয়ে তার কথাতেই চলবে। এর পরেই জবা-পরমের সংসারে মিট্টির আগমন তাই ধারাবাহিকে বেশ একটা বড়সড় ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।