টলিপাড়ায় স্বাধীনতা দিবসের পোস্ট নিয়েই শুরু হয়েছে বাক বিতন্ডা। মধুমিতা সরকার ভারতবর্ষ বানান ভুল লিখতেই, ঋদ্ধি সেন তাঁকে বলে বসেন অশিক্ষিত। আর এর জেরেই শুরু হয় খোরাক, অশান্তি।
বাঙালি হয়ে, দিবসকে দিবেস বলছেন মধুমিতা? দেশের প্রসঙ্গে ভুল লিখছেন? অভিনেতা ঋদ্ধি সেন তাঁকে যা নয় তাই বলেন। এমনও জানান, যে এরা অশিক্ষিত। তাঁর কথায়, "ন্যূনতম লজ্জা, শিক্ষা আর বোধ মুছে গেছে এই বিনোদন জগতের বহু কর্মীর মধ্যে থেকে। রক্তে মাখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পেরিয়ে আজ ৭৮তম বছরে পৌঁছেও রক্তের দাগ মুছে ফেলা যাচ্ছে না , যে রাজ্যে এক ডাক্তারের সাদা পোশাক ভেসে গেলো রক্তে সেই রাজ্যে এদের মতো অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে। এরা কোনোদিনই শিল্পী ছিল না , ছিল না অভিনেতা। অভিনয় শিল্পর সাথে যুক্ত থাকতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সংযোগ, প্রয়োজন শিক্ষা।”
কিন্তু, মধুমিতা চুপ থাকার পাত্র না। তিনি ঋদ্ধির কথায় বিরক্ত। সোজা তিনি আক্রমন করলেন ঋদ্ধিকে। বললেন, "উনি মনে হয় আমায় ব্যক্তিগত স্তরে চেনেন। নিশ্চই চেনেন। কিন্তু কীভাবে? ও হ্যা! আমার একটি পোস্ট দেখে। তাতে দুটো টাইপ মিসটেক ছিল, বাহ! আপনারা এনাকে নিজের হাত দেখাতে পারেন।" ঋদ্ধির মা, রেশমি সেনের সঙ্গে বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল মধুমিতার। কারণ, বোঝেনা সে বোঝেনা ধারাবাহিকে রেশমি তাঁর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
তাই সেই প্রসঙ্গ টেনেই মধুমিতা বললেন... "আমি আপনার আচরণ নিয়ে কিছুই বলব না ঋদ্ধি। কারণ, তাহলে আপনার অভিভাবকের প্রশ্ন উঠবে। আর আপনার বাবা মাকে আমি সম্মান করি, আর রেশমি আন্টিকে আমি ভালবাসি। আপনার বড় হয়ে ওঠা নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক দূর যেতে হবে, যেটা আমি চাই না।"
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী এর আগেও ব্রাজিল প্লেয়ার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সঙ্গে পেলেকে গুলিয়ে ফেলে একটি পোস্ট করেছিলেন। যাতে, তাঁকে নিয়ে খিল্লি শুরু হয়। এরপরেও তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করেন। আর আজ আবার...যদিও অভিনেত্রীর কথায় টাইপ মিসটেক হয়েছে। যেই মুহুর্তে তিনি ভুলটা উপলব্ধি করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে দিয়েছেন।