লকডাউনের সময় রুদ্রনীলের 'দাদা আমি সাতে সাতে-পাঁচে থাকি না' কবিতার ভিডিও বেজায় ভাইরাল হয়েছিল। বাংলার আট থেকে আশি মজেছিলেন সেই কবিতায়। সেই ভাইরাল কবিতাই কিনা পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর 'কাল' হল রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) জন্য! বিজেপিতে যোগদানের পর অনেকেই এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিঁধেছিলেন তিন বার শিবির বদলানো অভিনেতাকে। এবার তৃণমূলে যোগ দিয়েই সেই একই সুরে সহকর্মী রুদ্রকে খোঁচা দিলেন অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Dey)। সাহাগঞ্জের মঞ্চে সবুজ পতাকা হাতে তুলেই নায়িকার মন্তব্য, "আমি সাতেও থাকি পাঁচেও থাকি।"
নাম না নিলেও মানালি যে সেই ভাইরাল কবিতার অংশ ব্যবহার করে আখেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া রুদ্রনীলকেই বিঁধতে চেয়েছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। অভিনেতার আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) মঞ্চে দাঁড়িয়েই স্লোগান তুললেন, "ঝড় উঠেছে বঙ্গে, আমরা দিদির সঙ্গে।"
পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) মন্তব্য, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হন, সেজন্যই এখানে এলাম। আগেও তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছি। এবার পরিবারের সদস্য হলাম। সকলকে বলব, এগিয়ে আসুন।"
অভিনেতারা অবশ্য এখন নেতাও বটে! রাজনীতি এবং গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি এখন মিলেমিশে একাকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম কিংবা ঘাসফুল শিবির, দুই দলের তরফেই নির্বাচনী প্রচারে ‘স্টার-স্ট্র্যাটেজি’ তুঙ্গে! ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের খাতিরে এখন ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুত্বের সম্পর্কই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একে-অপরের থেকে মুখ ঘুরিয়েছেন তাঁরা। দোষারোপ আর কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি সর্বত্র। মানালিও হাঁটলেন সেই পথে। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েই বললেন, "মাকে হারাবার পরে দিদি আমার পাশে থেকেছেন। আমি সাতেও থাকি, পাঁচেও থাকি। বাংলার মানুষ কিন্তু বাংলার মেয়েকেই চায়।"
মমতা-ঘনিষ্ঠ জুন মালিয়ার (June Malia) মন্তব্য, "খেলা হবে তো? আমি দিদির সঙ্গে আছি। আজীবন থাকব। রাজনীতি বুঝি না। মানুষকে বুঝি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝি।"