Taslima Nasrin on Nusrat Jahan: নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) মা হওয়া নিয়ে শোরগোল টলিউডের অন্দরমহলে। ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা, শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন সাংসদ-অভিনেত্রীকে। তবে সমালোচনা-কটাক্ষও কম শুনতে হচ্ছে না! নিন্দুকদের কেউ কেউ আবার প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, বাচ্চার বাবার পরিচয় নিয়ে। আর সোশ্যাল-দুনিয়া যখন নুসরত জাহানের মা হওয়া নিয়ে দ্বিবিভক্ত, কেউ কেউ আবার প্রকৃত মা হয়ে ওঠার পাঠ দিচ্ছেন অভিনেত্রীকে। তখনই এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। নতুন মা-কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন লেখিকা। সপাটে বললেন, "সন্তানকে ভাল মানুষ করবে নুসরত।"
নুসরত প্রসঙ্গ খানিক অভিনবভাবেই উত্থাপন করলেন তসলিমা। এক কথোপকথনের আঙ্গিকে নিজের ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরছেন লেখিকা। সেখানেই তসলিমার বক্তব্য, "নুসরত প্রতিষ্ঠিত মেয়ে। কারও দাসিবাঁদি নয়। সন্তানকে ভালো মানুষ করবে এ আমার বিশ্বাস।"
একজন তারকা হয়ে, সাংসদ হয়েও নুসরত যে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে সমর্থন জানিয়েছেন তসলিমা। তাঁর কথায়, অভিনেত্রী আদতে মানবজাতি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব পালন করেছেন। কার ঔরসজাত সন্তান সেটা বড় কথা নয়। বরং নুসরত যে মা হতে চেয়েছেন। গর্ভধারণ করেছেন- তারকা-সাংসদের সেই অভিপ্রায়কেই গুরুত্ব দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।
তাঁর কথায়, অনেক নারীরাই নিজেদের জীবনকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন না। সেটা তাঁদের ইচ্ছে। কিন্তু নুসরত নিজে মা হতে চেয়েছেন, এত সমালোচনা-বিতর্কের পরও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াননি, সেকথাই ফুটে উঠেছে লেখিকার ফেসবুক পোস্টে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে 'সিঙ্গল মাদার' হওয়া তো আর চারটিখানি কথা নয়, নেটজনতাদের অনেকেই সেইজন্য নুসরত জাহানের এমন সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। বিশেষ করে মহিলারা। তসলিমাও সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক স্বাধীনচেতা নারীর মা হওয়ার সিদ্ধান্তে সায় জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও নুসরত জাহানের সমর্থনে মন্তব্য করেছিলেন তসলিমা। যশ-নুসরত-নিখিল এই ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে যখন কেচ্ছা-কটুক্তির পাহাড় জমেছিল নেটদুনিয়ায়, তখনও লেখিকা বলেছিলেন, "স্বাধীনচেতা নারীর কাঙ্ক্ষিত পুরুষ কল্পনায় থাকে, বাস্তবে নয়। অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু'পক্ষেরই অস্বস্তি।"
সেইসময়ে নুসরত প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "আসলে স্বনির্ভর এবং সচেতন হলে, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান যথেষ্ট থাকলে নিজের সন্তানের অভিভাবক নিজেই হওয়া যায়। নিজের সন্তানকে নিজের পরিচয়েই বড় করা যায়। পুরুষের মুখাপেক্ষী হতে হয় না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন