সোশ্যাল ওয়ালে ক্রমাগত কুরুচিকর, অশালীন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অতিষ্ট হয়ে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে এনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেত্রী। তা দেখে সহকর্মী-বন্ধুর পাশে মিমি চক্রবর্তী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের উত্যক্ত করা! প্রায়ই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হেত হয় মেয়েদের। তারকাদের জন্যও বিষয় খানিকটা জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে! স্কার্টের ঝুল, ব্লাউজের গভীরতা মাপা থেকে শুরু করে শাড়ির আঁচল সরে গিয়ে কেন নাভির অংশ বেরলো?.. উঁকি দিল বক্ষ বিভাজিকা? নেটজনতার আতস কাচ যেন তৈরিই থাকে চব্বিশ ঘণ্টা! তার প্রভাবও স্পষ্ট হয় কমেন্ট বক্সে। একের পর এক অশালীন, কদর্য মন্তব্য উপচে পড়ে। প্রোফাইল ব্লক বা রিপোর্ট করেও কি আদৌ সমস্যার সমাধান হবে? এবার সেই প্রশ্নই তুললেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বছরখানেক ধরেই অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। এবার শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হলেন। শিলাদিত্য নামে এক ব্যক্তি ৫-৬ বছর ধরেই সায়ন্তিকার প্রোফাইলে কুরুচিকর মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন। বারণ করা সত্ত্বেও কোনও হেরফের হয়নি। এবার বিরক্ত হয়ে সায়ন্তিকা ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে এনে তুলোধনা করলেন। সেই পোস্ট দেখে মিমি চক্রবর্তির উপদেশ, "সাইবার ক্রাইমে রিপোর্ট কর।" পাল্টা জবাবে সায়ন্তিকা লেখেন, "হ্যাঁ, এবার আমাকে সেটা করতেই হবে।"
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজই লালবাজারে সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ জানাবেন সায়ন্তিকা। তবে নায়িকার মনে প্রশ্ন, "পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কি কোনও লাভ হবে? যারা মানসিকভাবে অসুস্থ, তাদের থামানো মুশকিল। তবে একজন প্রতিবাদ করলে, অন্য মহিলারাও এগিয়ে আসবেন।"
<আরও পড়ুন: ‘ওকে দেখলে খুব হিংসে হয়..’ কাকে এত ঈর্ষা করেন শুভশ্রী?>
উল্লেখ্য, মিমি-সায়ন্তিকা ইন্ডাস্ট্রির দুই অভিনেত্রী-ই রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাহলে কি রাজনৈতিক কোনও দলের ইন্ধন রয়েছে? এপ্রসঙ্গে সায়ন্তিকার উত্তর, "অনেকেই সেটা ভাবছেন। তবে এই উৎপাত আমি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছে। আমার বাবার নাম নিয়ে যথন অশালীন মন্তব্য নজরে এল আর চুপ করে থাকতে পারিনি।"