প্রায় দুমাস বাড়িতে বসে থেকে অনেকেরই ওজন বেড়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র দেখতে ভাল লাগার জন্যেই যে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তা একেবারেই নয়। অতিরিক্ত ওজন থেকে নানা ধরনের রোগব্যাধিও হতে পারে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জিমে না গিয়েও মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন ওজন। তাই ডায়েট, ফিটনেস ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবরও রাখেন। সেভাবেই হঠাৎ টেলি-নায়িকা শ্রুতি দাসের চোখে পড়েছে একটি ডায়েট চার্ট যা তিনি শেয়ার করেছেন নিজের টাইমলাইনে। যদিও নিছক মজা করেই দেওয়া এই পোস্ট এবং এই পোস্টটি ফেসবুকে সম্প্রতি অনেকেই শেয়ার করেছেন তাঁদের টাইমলাইনে। জনৈক ফেসবুক ইউজার সূর্য্যানী ভট্টাচার্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন যে তিনিই প্রথম এই পোস্টটি লেখেন ফেসবুকে।
এই পোস্টে রয়েছে একটি ডায়েট প্ল্যান যার উৎপত্তি এখনও জানা যায়নি। সূর্য্যানী তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন যে তিনি কোনও একটি ব্লগে এই তালিকাটি দেখেছেন। শ্রুতিও মূল পোস্টের বয়ান অবিকল রেখে সেই কথাই লিখেছেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে। দুটি পোস্টেই খাদ্যতালিকার শেষে লেখা ছিল যে এটি সংগৃহীত এবং এই তালিকাটি নিছক মজার উদ্দেশ্যেই দেওয়া।
আরও পড়ুন: ”দয়া করে আমাদের কথাও একটু ভাবুন”, সরকারের কাছে আবেদন বিনোদন জগতের
তবে এই ডায়েটের যা দাবি অর্থাৎ ৬৮ দিনে ১৬ কেজি ওজন কমানো, তা সত্যিই সম্ভব কি না, তা কিন্তু জানা যায়নি এবং জানার কোনও উপায়ও নেই আপাতত। প্রথম যিনি এই পোস্টটি লিখেছেন বলে দাবি করেছেন, সেই সূর্য্যানী ভট্টাচার্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানান যে তিনি নিজে বিগত ৬ বছর ধরে ডায়েট নিয়ে চর্চা করছেন কিন্তু এই পোস্টটি নিছক মজা করেই লেখা। যে তালিকাটি রয়েছে, তা-ও নিছক মজা করেই দেওয়া।
এই তালিকা অনুসরণ করলে কী ফল দাঁড়াবে তা জানা নেই। আর সেটা কোনও চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা না বলে অনুসরণ করাও উচিত নয়। আসলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এক্সারসাইজের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ডায়েট। তেমন কোনও শারীরিক কসরৎ না করে শুধুমাত্র ডায়েটেই যে অনেকটা ওজন কমানো সম্ভব তা বহুদিন আগেই প্রমাণিত। তবে এই ধরনের ডায়েট যদি দীর্ঘদিন মেনে চলতে হয় তবে চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কারণ সব খাবার সবার জন্য নয়। সাধারণত সবাই লেবুর জল, টক দই জাতীয় খাবার খেতে শুরু করেন মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু টক-জাতীয় খাবার কারও শরীরের পক্ষে উপযুক্ত কি না, সেটাও যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
ডায়েট নিয়ে এই পোস্টটি প্রথম পুরুষে লেখা। তালিকায় যে যে উপাদানগুলি রয়েছে যেমন ব্রাউন রাইস, টক দই, স্যালাড ইত্যাদি সেগুলিও সাধারণত ওজন হ্রাসের ডায়েটে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এক ঝলক দেখলেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। আর সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে মজা।
আরও পড়ুন: ”আমি বেঁচে আছি”, মৃত্যুর খবর উড়িয়ে বললেন মুমতাজ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে শ্রুতি জানালেন যে তিনি নিছক মজা করেই এই ডায়েটটি শেয়ার করেছেন। তিনি তো আর এই ডায়েট অনুসরণ করেননি, তাই ডায়েটের উপকারিতা বা অপকারিতা সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানেন না। তবে তাঁর সোশাল মিডিয়ার বন্ধু ও অনুগামীরা এই পোস্টটিতে মজা পেয়েছেন, নায়িকা তাতেই খুশি।