Ke Apon Ke Por Tiya and Joba bonding: বাড়ির কাজের মেয়েকে যখন বিয়ে করতে চায় বাড়ির ছোট ছেলে, তখন পরিবারে ঝড় ওঠে। সেই সময়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়ায় দুজন-- বাড়ির কর্তা এবং ওই বাড়িরই এক মেয়ে। 'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই টিয়া ও জবার বন্ধুত্ব। ননদ-বৌদির পর্দার কেমিস্টির নেপথ্যে রয়েছে দুই প্রায় সমবয়সী অভিনেত্রীর সখ্য।
''পল্লবীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আজকের নয়। 'শুভবিবাহ' বলে একটা সিরিয়ালে আমি লিড চরিত্র করতাম। আর ও তখন 'দুই পৃথিবী' বলে একটা সিরিয়ালে লিড করত ইটিভি বাংলায়। একই চ্যানেলের দুটো ধারাবাহিকের লিড করলে যা হয়, অনেক ইভেন্টে আমাদের দেখা হতো'', বলেন সৌমি, ''কখনও বিজয়ার বৈঠক, কখনও কোনও নাচের রিহার্সাল। ওইভাবেই বন্ধুত্বের শুরু।''
আরও পড়ুন: শেষ হচ্ছে ‘জয়ী’! রইল এই সপ্তাহের সেরা দশ তালিকা
সেই বন্ধুত্বই আরও একধাপ এগিয়ে যায় 'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে। ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। তিন বছর আগে যখন প্রথম শুরু হয় শুটিং, তখন সেই ইউনিটে সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব ছিল সৌমি ও পল্লবীর মধ্যেই। ''পল্লবী আমার আমার চেয়ে বয়সে একটু ছোট। কিন্তু আমরা সব সময়ে সমবয়সী বন্ধুর মতোই মিশেছি। যখন প্রথম এলাম 'কে আপন কে পর'-এ, তখন পল্লবী আর আমি ছাড়া বাকি কেউ কাউকে চিনতাম না। তার পরে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হল। তাই পল্লবী ও আার বন্ধুত্বটা সব সময়েই ছিল'', বলে চলেন সৌমি, ''মাঝখানে যখন আমার ট্র্যাকটা অফ ছিল বেশ কিছুটা সময়, পল্লবী কিন্তু নিয়মিত আমাকে ফোন করে খোঁজ নিত।''
আরও পড়ুন: আক্রান্ত টিম ‘কে আপন কে পর’, সাইবার সেলের দ্বারস্থ তারকারা
টিয়ার ট্র্যাকটি ধারাবাহিকের শুরুর দিকে যতটা বেশি করে ছিল, বিগত এক বছরে তেমনটা ছিল না। সেটা অবশ্য গল্পেরই প্রয়োজনে। সঞ্জয়ের চক্রান্ত বানচাল করে টিয়ার সঙ্গে তপুর বিয়ে দেয় জবা। তার কিছুদিন পরে তপুর সঙ্গে বেঙ্গালুরু চলে যায় সে। দর্শক এটা দেখেছেন গত বছর। তার পরে অবশ্য তপু ও টিয়ার সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে নানা কারণে। গত বছর পুজোর সময় বাড়িতে এসে সেকথা বলতে চেয়েও বলতে পারেনি টিয়া। যদিও জবা অনেকটাই আঁচ করেছিল।
আরও পড়ুন: ‘আয়নার সামনে দাঁড়ালে পারফেক্ট, আমাকে নিজেকে লুকোতে হয় না’, অকপট অপরাজিতা
তার পরে আবারও বেশ কয়েক মাসের বিরতি। কিছুদিন হল ধারাবাহিকে আবারও ফিরেছে টিয়ার ট্র্যাক। গল্প অনুযায়ী, স্বামী তপুর সঙ্গে সেপারেশনে রয়েছে এখন সে। যদিও এবারেও পুজো উপলক্ষে ফেরা, তবে পুজোর পরেও বাপের বাড়িতেই থেকে যাবে সে। টিয়ার ছোটবেলার প্রেম তপু যে মদ্যপ ও লম্পট একটি মানুষে পরিণত হয়েছে, সেকথাও জানে জবা। তাই টিয়ার এই দুর্দিনে তার পাশে রয়েছে টিয়ার প্রিয় বৌদিভাই।
ওদিকে এখনও বড়বৌদি তার প্রতিশোধ নেওয়ার অদম্য ইচ্ছা ত্যাগ করেনি। প্লাস্টিক সার্জারি করে অন্য চেহারায় উপস্থিত সে। ধারাবাহিকে বড়বৌদির চরিত্রটি এখন করছেন বুলবুলি পাঁজা। গল্পের ঘনঘটা একটুও কমেনি। বরং আরও বেড়েছে আর পাশাপাশি অনেক দিনের বিরতির পরেও একটুও কমেনি পল্লবী ও সৌমির বন্ধুত্ব।
আরও পড়ুন: বাড়ির কাজের মেয়ের ‘বউ’ হয়ে ওঠার গল্পই 'কে আপন কে পর'
''এবারে যখন আবার 'কে আপন কে পর' ইউনিটে ফিরলাম, একটা মজার ব্যাপার হয়েছে। আমি তো মাঝখানে অনেকদিন ছিলাম না। ইতিমধ্যে সিমরান মানে যে জবার মেয়ে কোয়েলের চরিত্রে অভিনয় করে, তার সঙ্গেও পল্লবীর খুব বন্ধুত্ব হয়েছে। আমি আসার পর থেকে আমরা মজা করে কম্পিটিশন করি-- জবা কাকে বেশি ভালবাসে, আমাকে না সিমরানকে। পল্লবী কিছুতেই মুখে কিছু বলে না। আমি বলি আমাকে বেশি ভালবাসে আর সিমরান বলে ওকে'', হাসতে হাসতে বলেন সৌমি।