দেবস্মিতা দাস
মোটামুটি কলকাতারই বাসিন্দা হয়ে গেছেন এখন। এবছর রিলিজও আছে দুটো বাংলা ছবির। শান্ত ছিল, তবে মোটেই নির্জন ছিল না বেলগাছিয়া রাজবাড়ি। এখানেই অব্যক্ত'র শুটিংয়ে ব্যস্ত। তারই মধ্যে আলাপচারিতা আদিল হুসেনের সঙ্গে।
বাংলায় তো অনেকগুলো ছবি করা হয়ে গেল...
কলকাতায় আমি ১৯৭৫ সাল থেকে আসছি। ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন। আর ১৯৮৫ থেকে প্রায় প্রত্যেক মাসে আসতাম নাটক দেখতে। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, উৎপল দত্ত, কুমার রায়, শাঁওলি মিত্র, এঁদের নাটক দেখে আমি বড় হয়েছি। অভিনয়ের প্রতি আমার যে ভালবাসা তাতে কলকাতার অবদান কম নয়।
পরপর বাংলা ছবির কাজ করছেন। খুবই ব্যস্ততা যাচ্ছে তো?
ব্যস্ত তো বটেই! রবিবারই সাউথ কোরিয়া থেকে ছবির রিলিজ করে ফিরেছি। তারপর কলকাতা। কিন্তু এখনও শরীর চলছে। ঘুম কম হচ্ছে আর জেটল্যাগ বেশি। চোখ ফুলে রয়েছে। তবে এটা সন্তোষদায়ক।
'অব্যক্ত' ছবিতে আপনার চরিত্রটা কেমন?
ছবিতে আমার চরিত্রের নাম রুদ্র, (হেসে) তবে একদম রুদ্রমূর্তি ধারণ করে না। মানুষের প্রতি সমব্যথা প্রখর। আর যে পরিবারের শুটিং চলছে এখন তাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক।
ছবিটায় রাজি হলেন.....
...কারণ ছবির চিত্রনাট্য। বিপরীতে অর্পিতা রয়েছে। এছাড়াও অর্জুনের সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লেগেছে। আর কলকাতায় এসে কাজ করতে তো আমার বরাবর ভাল লাগে।
আপনার ব্যক্ত না করা কথাগুলো কী কী ?
সেটা এখন বলতে হবে তোমাকে! এই রে! অনেক অনেক কথা আছে। সত্তর বছর বয়সে আত্মজীবনী লেখার সাহস করতে পারলে লিখব।
বাংলা ছবি দেখেন?
এই তো সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘অসমাপ্ত’ দেখেছি। ‘শব্দ’ও দেখলাম। ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ও ভীষণ ভাল লেগেছে। মারাঠি এবং হিন্দিতেও এখন এক্সপেরিমেন্টাল ছবি হচ্ছে। সেটা আমাদের মতো অভিনেতাদের জন্য ভাল।
আরও পড়ুন, আদিল-অর্পিতায় ভরসা অব্যক্তর অর্জুনের
পরিচালনার ইচ্ছে...
না না! একদম নেই। অনেক কষ্ট পরিচালকের (হাসি)। আমি অভিনয় করেই কুলোতে পারছি না। পরিচালনা করতে গেলে তো আমার অবস্থা শেষ হয়ে যাবে।
সামনে আর কী কী ছবি আসছে?
তবরেজ নুরানির 'লভ সোনিয়া' আছে। ‘লাইফ অফ পাই’-এর প্রযোজক ডেভিড ও'মার্ক ছবিটার প্রযোজনা করেছেন। ‘আহারে মন’ আর ‘মাটি’ তো আছেই। ‘বোম্বাইরিয়া’ বলেও একটা ছবি রিলিজ করবে। আরও অনেকগুলো ছবি আছে, এখনই মনে পড়ছে না।