আদিল হুসেন ও একাবলী খান্নার নরওয়েজিয়ান ছবি 'হোয়াট উইল পিপল সে'- নরওয়েতে থাকা এক পাকিস্তানি পরিবারের কাহিনি। এবার এই ছবিই নরওয়ের অফিসিয়াল এন্ট্রি হিসাবে অস্কারে গেল।
২০১৯ এর অস্কারে নরওয়ের অফিসিয়াল এন্ট্রি হলো 'হোয়াট উইল পিপল সে', যে ছবিতে অভিনয় করেছেন একাবলী খান্না এবং আদিল হুসেন। নরওয়েতে থাকা এক পাকিস্তানি পরিবারের কথা বলে এই ছবি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে একাবলী খান্না বলেন, "অনেকে বলেছে, এমনকি আমিও শুট করার সময় জানতাম, ভীষণই অন্যকরম একটা ছবি হতে চলেছে। কিন্তু ছবিটা গোটা বিশ্বে এতটা সাড়া ফেলে দেবে, এত ভালবাসা কুড়োবে, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। নরওয়ে থেকে এই মনোনয়ন আমাদের পুরো টিমের কাছে গর্বের বিষয়। এরপরে অস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছি।"
Advertisment
মঙ্গলবারই ফেসবুকে এই খবর জানান আদিল হুসেন নিজেই। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এটা অত্যন্ত সম্মানের। আমি এই ছবির অংশ হতে পেরে গর্বিত। ছবিটা অনেক কারণে গুরুত্বপূর্ণ, আসলে এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়েছে যেটা পশ্চিমী সমাজ গোপন করার চেষ্টা করে থাকে। আমার মনে হয় যেহেতু বিষয়টা স্পর্শকাতর, মূলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোয় মূল্যবোধ আলাদা, এশিয়ান বা পাকিস্তানি বা ভারতীয়দের সঙ্গে তাদের অনেক বিভেদ রয়েছে, এটা নিয়ে সেভাবে কথা হয়নি। এই ছবিটা সেই ইস্যুগুলো নিয়েই কথা বলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "নরওয়েতে এই ছবি প্রায় ছ'মাস চলেছে। শুধু নরওয়েতে নয়, সমস্ত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতেও ভাল সাড়া ফেলেছে। আর এই ছবির জন্য নরওয়েতে সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছি। এবার নরওয়ে থেকে অফিসিয়ালি মনোনয়ন পেয়ে আরও পাঁচটা বিদেশি ভাষার ছবির সঙ্গে পাল্লা দেবে। অস্কারের মনোনয়ন পেতে এখনও অনেকটা রাস্তা যেতে হবে, তবে নরওয়ের তরফে এটা পাঠানো হয়েছে, আমি সম্মানিত। তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্বের সামনে এসেছে এটা তো ভাল লাগার বিষয়।"
প্রসঙ্গত, অগাস্টে নরওয়েজিয়ান ন্যাশনাল পুরস্কার বা আমান্ডা অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন। এটা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সর্বোচ্চ সম্মান, যা তিনি গোয়ালপাড়া, আসামকে উৎসর্গ করেছেন। পরিচালক ইরম হকের ছবি 'হোয়াট উইল পিপল সে' পাকিস্থান ও নরওয়ের প্লটে তৈরি। ছবিতে দেখানো হয় এক পাকিস্থানি অভিবাসী পরিবার কীভাবে স্থানীয় এক ছেলের সঙ্গে তাদের মেয়ের সম্পর্ককে সামলায়।