'মণিকর্নিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি' মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। ছবিতে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে এই ছবিতে তিনি শুধুমাত্র অভিনেত্রী নন, সহ পরিচালকও বটে। রাধাকৃষ্ণ জগরলামুড়ির সঙ্গে সহ পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৮৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন ঝাঁসির রানি।
প্রথম দিনেই বক্সঅফিসে রাজত্ব করার জন্য প্রস্তুত এই ছবি। কঙ্কনা রানাওয়াতের ছবির পাশাপাশি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির 'ঠাকরে'-ও মুক্তি পেয়েছে বড়পর্দায়। কিন্তু ট্রেড অ্যানালিস্ট গিরিশ জোহরের মতে, মনিকর্ণিকা খুব সহজেই বক্সঅফিসের দৌড়ে পেছনে ফেলে দেবে ঠাকরেকে।
আরও পড়ুন, কঙ্গনা দেখুন দুচোখ ভরে
গিরিশ জোহর বলেন, "মণিকর্নিকা' এবং 'ঠাকরে', দুটোই বায়োপিক। কিন্তু ঝাঁসির রানির বায়োপিক ঐতিহাসিক ছবি এবং সেখানে ড্রামাও অনেক বেশি। সেকারণেই আমার মতে দুটো ছবির বক্স অফিসের আয়ের কোনও তুলনা হওয়া উচিৎ নয়।" তিনি আরও বলেন, "ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও 'মণিকর্নিকা' প্রথম দিনেই ১২-১৩ কোটি টাকা আয় করবে। এটা বড় ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম।"
ছবিতে কঙ্কনা রানাওয়াত ছাড়াও রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত, সুরেশ ওবেরয়, অঙ্কিতা লোখান্ডে, ড্যানি ডেনজংপা। বাহুবলী ফ্র্যাঞ্চাইজির চিত্রনাট্যকার কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ লিখেছেন মণিকর্নিকার স্ক্রিপ্ট।
'মণিকর্নিকা' সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা ছবিটিকে আড়াই স্টার দিয়েছেন। তিনি রিভিউতে লিখেছেন, ''প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মণিকর্নিকা জাতীয়তাবাদের কোনো সংজ্ঞাই বাদ দেয় না। ফলস্বরূপ প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো শুভদিনে মুক্তিলাভ। লালমুখো সাহেব তাড়ানোর দৃশ্যে একটু ভ্রূ কুঁচকাতেই পারেন, কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন, যে ঝাঁসির পতাকা উত্তোলন আসলে আমাদের তেরঙ্গা উত্তোলনেরই পূর্বাভাস? সর্বোপরি, এই ছবির সঙ্গে আমাদের বেঁধে রাখেন কঙ্গনা। ছবির শ্রেষ্ঠ মুহূর্তে তাঁর অভিনীত চরিত্র, ছবির কাহিনী, এবং পর্দা, সবটাই তাঁর দখলে।"