একুশের বঙ্গভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) রঙ্গমঞ্চে এবার তাক লাগালেন বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী (Mahima Chowdhury)। যে অভিনেত্রীকে নাকি এখন আর সিনেপর্দায় দেখা যায় না, সেই তাঁকেও বাংলার তারকা-খচিত বিধানসভা ভোটে প্রচারের কাজে লাগাল তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরই! চমক এখানেই শেষ নয়! বাকি রয়েছে আরও। তৃণমূলপ্রার্থী (TMC) মদন মিত্রের (Madan Mitra) হয়ে প্রচারের পর এবার দিন কয়েকের ব্যবধানেই বিজেপিপ্রার্থী (BJP) সব্যসাচী দত্তর (Sabyasachi Dutta) হয়ে ভোটপ্রচারের ময়দানে গলা ফাটাতে দেখা গেল মহিমা চৌধুরীকে।
গত ৫ এপ্রিল কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রর হয়ে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল মহিমা চৌধুরীকে। সোমবার, ১২ এপ্রিল, প্রায় একসপ্তাহের ব্যবধানেই সেই বলিউড অভিনেত্রীর গলায় উলটো সুর! এবার ভোটপ্রচারের ময়দানে গেরুয়া শিবিরের সমর্থনে সুর চড়ালেন মহিমা।
প্রসঙ্গত সোমবার, দমদমের (Dum Dum) বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে হুডখোলা জিপে প্রচার করতে দেখা গেল মহিমাকে। দমদম পার্ক থেকে শুরু করে যশোর রোড হয়ে দক্ষিনদারি-সহ বিভিন্ন এলাকায় পদ্ম-প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন রাখলেন তিনি জনগণের কাছে। প্রচারের মাঝেই বলিউড নায়িকাকে বলতে শোনা গেল, "সব্যসাচী দত্তর হয়ে প্রচার করা জরুরি। ওনাকে সমর্থন করে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। সবাইকে বলব, দাদা মেয়র ছিলেন। খুব ভাল কাজ করেছেন।"
মহিমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সব্যসাচী জানিয়েছেন, তিনি যখন মেয়র পদে বসেছিলেন, তখনও মহিমা চৌধুরী এসেছিলেন। তাই ভোটপ্রচারে থাকবেন না, তা কী করে হয়! "আমি যখন যেখানে, মহিমাও সেখানে", মন্তব্য দমদমের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচীর। যিনি কিনা তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর হয়ে ভোটে লড়ছেন এবার। তৃণমূল শিবিরে একসঙ্গে থাকাকালীনও কোনও দিনই সুজিত-সব্যসাচীর সুসম্পর্ক ছিল না। তাঁদের সন্ধি করতে গিয়ে যেখানে বেগ পেতে হয়েছিলে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও। কিন্তু বর্তমানে সব্যসাচী পদ্ম শিবিরের প্রার্থী। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অবশ্যম্ভাবী।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ এপ্রিল যেদিন কিনা কামারহাটিতে ভোট, এদিন দমদমেও নির্বাচন। একদিকে তৃণমূলের মদন মিত্র, আরেকদিকে ভোটবাক্সে বিজেপির সব্যসাচীর ভাগ্যগণনার লড়াই। আর মহিমা চৌধুরী কিনা প্রতিপক্ষ দুই প্রার্থীর হয়েই প্রচার সারলেন! অতঃপর বলিউড নায়িকার এমন 'দু-মুখো' প্রচার নিয়ে বেজায় শোরগোল পড়েছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরমহলে।